কিভাবে দেখবেন

নিজের মোবাইলে এই সাইটটি খুলে একদম ওপরের ডানদিকে তিনটি (.) ডট চিহ্ণে চাপ দিন। গুগলের মেনু খুললে (Desktop site) ডেক্সটপ সাইট লেখা অংশে চাপ দিন। এইবার সাইটটি ভাল করে দেখুন।

আনন্দ দর্শনে আপনি স্বাগত

আমাদের এক এবং অদ্বিতীয় এই ওয়েবপেজে আপনি পাবেন জীবনে সাফল্যের সমাধান

350/-

আমাদের বইগুলি পড়ুন ও পড়ান ....

প্রতিদিনের সমস্যা, ক্লান্তি ও হতাশা আপনাদের সবাইকেই বিষণ্ণ করে রাখে, দুর্বল করে তোলে। কঠিন দিনগুলিতে জয়লাভ করতে, শত্রুদমন করতে এবং নিজেকে ও নিজের পরিবারকে যে কোন আকস্মিক বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে এই বই গুলি আপনার প্রকৃত সম্পদ ।

আমাদের বইগুলি পড়ুন ও পড়ান ....

এই বইটি ভারতীয় গোপন তন্ত্রের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যেমন বামাচারী, মায়াং, মুসলিম, বৌদ্ধিক, লামা, অঘোরি ইত্যাদি। এই বইটিতে ভারতীয় তন্ত্র ভিত্তিক টিপস, টোনা-টোটকাও রয়েছে যা খুবই সহজ এবং সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে। এই বইটি একটি টিউটোরিয়াল জার্নাল। প্রাচীন যুগ থেকে সমসাময়িক সময় পর্যন্ত, সেই তন্ত্রগুলি দৃঢ়ভাবে প্রাসঙ্গিক। লেখকদের অনেক সংগ্রহকে তথ্য ও শিক্ষামূলক বিষয়বস্তু হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

350/-

জেনে নিন

আপনাকে কি কি পরিষেবা প্রদান করা হবে

বাড়িতে থেকেই আপনি আমাদের অনলাইন জ্যোতিষ সমাধান পাবেন, অতি মুল্যবান পুস্তকগুলি ক্রয় করতে পারবেন এবং সমগ্র জীবনের কোষ্ঠী “স্বর্ণ চক্র” – হাতে হাতে পাবেন

কি কি সেবা পাবেন

সেরা পরিষেবা
আপনার নানান রকমের অসুবিধা থাকলে তার প্রতিকারও নানান রকমেরই হবে। আমরা বিভিন্ন প্রকারের পরিষেবা দিয়ে থাকি, সেক্ষেত্রে আপনি বিশেষ উপকৃত হবেন

মাঙ্গলিক যোগ

জ্যোতিষের ভাষায়, কারোও রাশিফলের চতুর্থ ভাব, সপ্তম ভাব, অষ্টম ভাব ও দ্বাদশ ভাবে মঙ্গলগ্রহের প্রভাব থাকলে সেই ছেলে বা মেয়েটি মাঙ্গলিক দোষ পেয়েছে বলে মনে করা হয়। এই দোষ সাধারণত বিবাহ পরবর্তী জীবনে সমস্যার সৃষ্টি করে। কিছু মানুষ আবার প্রচলিত ধ্যানধারণাগুলি বলে এই দোষের ছেলে বা মেয়েকে রীতিমতো ভয় ধরিয়ে দেয়।

রাহু দশা

কারোর জীবনে রাহুর মহাদশা ১৮ বছর ধরে চলতে পারে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী রাহু হল শয়তান গ্রহ। বিশেষ করে কোনও কোনও গ্রহ বা নক্ষত্রের সংস্পর্শ এলে রাহুর প্রভাব অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। শনি, মঙ্গল এবং রবিব প্রভাবে রাহুর দশা জাতকের জীবনে ভয়াবহ প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আবার বৃশ্চিক বা ধনু রাশিতে অবস্থান করলেও রাহুর প্রভাব অত্যন্ত হানিকর হয়ে ওঠে।
* লগ্নে রাহুর প্রভাব থাকলে একের পর এক প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যায়। কারোর সঙ্গেই স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয় না।

* রাহুর প্রভাব ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে অমনোযোগিতা বাড়ে। সারা বছর পড়াশোনা না করে পরীক্ষার আগে কোনও মতে পাশ করার চেষ্টা করে এরা।

* রাহুর মহাদশা চললে অকারণে প্রচুর মিথ্যে কথা বলে সেই ব্যক্তি। সব সময় এদের মাথা গরম থাকে।

সাড়ে সাতি

সাড়ে সাতি দশা চলছে শুনলে অনেকেই হতাশায় ভেঙে পড়েন। কারণ, জীবনের সাড়ে সাত বছর এই সাড়ে সাতি দশা মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে দেয়। শনির সাড়ে সাতি দশা সাধারণত শারীরিক, মানসিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি ঘটায়। গুরুজনদের স্বাস্থ্য সঙ্কট-সহ নানা রকম সমস্যা এনে দেয়। শনি গ্রহ যখন জন্মকালীন চন্দ্ররাশির দ্বাদশ, প্রথম ও দ্বিতীয় ঘর অতিক্রম করে এ সময়কালকে শনির সাড়ে সাতি বলা হয়। রাশিচক্রে শনি একেক রাশি অতিক্রম করতে সময় লাগে আড়াই বছর। তিনটি রাশি অতিক্রম করতে সময় লাগে মোট সাড়ে সাত বছর। সে জন্যই একে শনির ‘সাড়ে সাতি’ বলা হয়।
সাধারণত জাতক-জাতিকার জন্ম কুণ্ডলিতে এই সাড়ে সাতি তিনবার পরিক্রম করে (বাল্যকালে, যৌবনকালে ও বৃদ্ধ বয়সে)। প্রথম সাড়ে সাতি শিক্ষায় সঙ্কট এবং পিতামাতাকে কষ্ট দেয়। দ্বিতীয় সাড়ে সাতি জীবিকা ও অর্থ সংকট এনে দেয়, পরিবারে শান্তি বিঘ্নিত করে। প্রেম, ভালবাসা ও দাম্পত্য জীবনকেও প্রভাবিত করে। তৃতীয় অর্থাৎ শেষ সাড়ে সাতি শরীর-স্বাস্থ্য, গুরুজনদের মৃত্যু পর্যন্ত এনে দেয়।

শত শত ভিডিওর মাধ্যমে আপনার বর্তমান সমস্যার প্রকৃত সমাধান

আপনি আমাদের কাছে কেন আসবেন ?

 

আমরা জ্যোতিষ ও তন্ত্র নিয়ে তথাকথিত অর্থে কোনও রকম হঠকারী ব্যবসা করি না। আমরা সম্পূর্ণ বিস্বস্ততার সঙ্গে বিচার ও প্রতিকার দিয়ে থাকি। আপনি হয়ত জেনে আনন্দিত হবেন যে সারা পৃথিবীতে লক্ষ কোটি মানুষের কাছে প্রতিনিয়ত স্বল্প মূল্যে এবং বিনামূল্যে আমাদের পরিষেবা পৌঁছে যাচ্ছে। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে আমাদের কাছ থেকে উপকৃত মানুষের সংখ্যা কয়েক লক্ষাধিক ছাড়িয়েছে। এই মুহূর্তে ইউ টিউব এ আমাদের সদস্য সংখ্যা তিন লক্ষ ছাড়িয়েছে। আমাদের এক একটি ব্লগের পাঠক সংখ্যাও দশ লক্ষাধিক হয়েছে। আমরা বলতে পারি যে, আমাদের প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে আজ পর্যন্ত কোনও মানুষ বিমুখ হয়ে ফেরেননি। আপনাদের সাহায্য, সহযোগিতা, শুভেচ্ছা নিয়ে আগামী দিনে চলার পথে বিশ্ব মানবের দরবারে আমরা প্রথম সারিতে থাকতে পারব বলে আশা রাখি। আপনারা আমাদের কাছে বড় সম্পদ,সুতরাং সেই সম্পদকে রক্ষা করার দায়িত্ব দিয়ে আমাদের কাজের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবেন,এই ভাবনা আমরা মনে প্রাণে পোষণ করি।

কি কি মন্ত্র আপনার জন্য সঠিক ?

জানুন

মনকে যা ত্রাণ করে,তাকেই মন্ত্র বলা হয়। মন্ত্র তিন প্রকারের হয়ে থাকে।  সাধ্য মন্ত্র,গুরু বা ইষ্ট মন্ত্র,অরি মন্ত্র। অরি মন্ত্র কখনও জপ করা উচিত নয় কারণ তা আমাদের ক্ষতিসাধন করে থাকে।  গুরু মন্ত্র বা ইষ্ট মন্ত্র আমাদের শ্রী গুরুদেবের থেকে প্রাপ্ত হয়ে আত্ম উপলব্ধির পথে এগুতে থাকি।সাধ্য মন্ত্র দান করে থাকেন জ্যোতিষী, পন্ডিতবর্গ ও সিদ্ধ তান্ত্রিক গণ।  সুতরাং বিচার করেই আপনাকে মন্ত্র জপ করতে হবে, সেক্ষেত্রে সঠিক পথ প্রদর্শকের প্রয়োজন। তন্ত্রভিশনের মাধ্যমে যা  আপনারা পেয়ে চলেছেন এবং পেতে থাকবেন। আগামী দিনগুলিতে তন্ত্রভিশনের সেবা গ্রহণ করে আপনার ভবিষ্যত আরও উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় হোক এটাই আমাদের একমাত্র কামনা।  জয় হোক।
02093aeae41aff157799517c5cfbdcfe
ভালবাসার মানুষকে সারা জীবন কাছে পেতে চান
আপনার নিত্য দিনের সমস্যায় আমাদের প্রতিকার ১০০% সফল

আপনার জীবনের উন্নতির পথে আমরা আছি

আপনার জীবনের চলার পথে যে যে বিষয়গুলি অতি গুরুত্বপূর্ণ , সেই সেই বিষয়গুলির সম্পর্কিত বিশদ ফলাফল আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরেছি। এই ফলাফল গুলি আপনাদের কাছে এক অমূল্য সম্পদ হয়ে উঠুক - আমরা এই আশা রাখি।

যোগাযোগঃ ৯৮৩০১ ৪৩০৪৮

জীবনে একের পর এক বাধা ও সমস্যা

জ্যোতিষ মতে এই নিয়মগুলি মেনে পান প্রতিকার

জীবনে একের পর এক বাধা বা সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার অর্থ গ্রহের সমস্যা। কোনও গ্রহের জন্য আপনার জীবনে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে তা জেনে তবে তার প্রতিকার নিন। বুধের প্রকোপ থেকে বাঁচতে খুব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বাড়ি বা ঘরে কোথাও নোংরা রাখা যাবে না। সবুজ রং এর পোশাক ও সবুজ খাবার এর পরিমান বাড়াতে হবে। শুক্রের দশা কাটাতে সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বাড়ি বা ঘরে কোথাও নোংরা থাকলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। খাওয়ার পাতে দই অবশ্যই রাখতে হবে। মহিলাদের জন্য খুব লম্বা চুল ও পুরুষদের মুখ ভর্তি দাঁড়ি রাখা চলবে না।
রাহু ও কেতুর সমস্যার প্রতিকারের জন্য দুঃস্থের সেবা করুন। আপনার সাধ্য মত দরিদ্রের সেবা করুন। মনে রাখবেন সেবামূলক কাজে মানেই আপনাকে আর্থিক সাহায্য করতে হবে তা নয়। বিপদে তাঁর পাশে থাকুন, সাধ্য মত সাহায্য করুন। তাহলেই কাটিয়ে উঠতে পারবেন রাহু ও কেতুর প্রকোপ। যদি আপনার চন্দ্রের সমস্যা থাকলে তাহলে ঠাণ্ডা খাবার খাওয়া যাবে না। খাবার পাতে ফল রাখতে হবে। জলাশয়ে স্নান করতে না নামাই ভালো, বিপদের আশঙ্কা থাকে। তবেই সমস্ত বাধা কাটিয়ে উঠতে পারবহেন সহজেই। 
যদি আপনার শনির দশা থাকে তবে তা কাটাতে প্রতি শনিবার করে শনি মন্দিরে গিয়ে পুজো দিন। মঙ্গলবার বা শনিবার করে বজরঙ্গবলীর পুজো করুন। খুব দ্রুত এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। মঙ্গলের দোষ কাটাতে খাটে শোয়া ছেড়ে মাটিতে বিছানা করে শুতে হবে। প্রতি মঙ্গল ও শনিবার বজরঙ্গবলীর পুজো ও কালী ঠাকুরের পুজো করতে হবে। একইসঙ্গে খাওয়ার পাতে কাঁচা নুন খাওয়া কমাতে হবে।
দেবগুরু বৃহস্পতির প্রকোপ থেকে বাঁচতে হলুদ রং-এর খাবার বেশি পরিমানে খেতে হবে। সম্ভব হলে নিরামিষ আহার বেশি পরিমানে গ্রহণ করুন। কোনও ধরনের মাংস খাওয়া চলবে না এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।  রবি বা সূর্যের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন সূর্য প্রণাম করা আবশ্যক। যেই ঘরে রোদ আসে সেই স্থানেই খেতে বসতে হবে। এই সময় যতটা সম্ভব ধাতুর ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে। 

 

ভালবাসার মানুষকে সারা জীবন কাছে পেতে চান
আপনার নিত্য দিনের সমস্যায় আমাদের প্রতিকার ১০০% সফল

চাকরিতে উন্নতি করতে টেবিল সাজান বাস্তু মেনে, জেনে নিন বাস্তু মত

বাস্তু মতে, যে টেবিলে বসে কাজ করেন তা বাস্তু মেনে সাজান। টেবিলে ওপর একটি বিশেষ পেপারওয়েট রাখুন। যা আপনার চাকরিতে উন্নতি ঘটাবে। বাস্তু মতে, যে টেবিলে বসে কাজ করেন সেখানে ক্রিস্টালের একটি পেপারওয়েট রাখতে পারেন। এই পেপারওয়েট রাখুন উত্তর পূর্ব দিকে। অনেকে মনে করেন, যে টেবিলের ওপর চায়ের কাপ রাখা উচিত নয়। এটা ভুল ধারণা। বাস্তু মতে, যে টেবিলে বসে কাজ করেন, তার ওপর চা বা কফির কাপ রাখতে পারেন। টেবিলের উত্তর পূর্ব দিকে চা ও কফির কাপ রাখলে চাকরি ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটবে। টেবিলের ওপর বই ও ফাইল রাখতে পারেন। তবে, তা যেন আপনার ডানদিকে থাকে। বাস্তু মতে, ডানদিকে বই ও ফাইল রাখলে চাকরি ক্ষেত্রে উন্নতি হয়। হয়তো একই সংস্থায় বহুদিন ধরে কাজ করছেন। কিন্তু, কিছুতেই প্রোমোশন পাচ্ছেন না। প্রচুর পরিশ্রম সত্ত্বেও নানা কারণে বাধা আসছে। এমন অনেকের সঙ্গে হয়। জ্যোতিষিদের মতে, বাস্তু দোষে কাজে বাধা আসে। কাজের জায়গায় কখনওই পা ক্রস করে বসেবন না। আমাদের আচরণের জন্য বাস্তু দোষ তৈরি হয়। স্টাইল করে বসতে গিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে আনি। এবার থেকে এই জিনিস আর করবেন না। পা ক্রস করে বসলে নেগেটিভ এনার্জি তৈরি হয়। যা উন্নতির পথে বাধা দেয়। তাই মেনে চলুন বাস্তু টোটকা।

শত শত ভিডিওর মাধ্যমে আপনার বর্তমান সমস্যার প্রকৃত সমাধান

বিশ্বের প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ এই ভিডিও গুলি বার বার দেখে থাকেন – আপনিও আজকেই দেখুন – তান্ত্রিক টোটকা (ইউ টিউব)

Contact: 98301 43048

আপনার জীবনের উন্নতির পথে আমরা আছি

আপনার জীবনের চলার পথে যে যে বিষয়গুলি অতি গুরুত্বপূর্ণ , সেই সেই বিষয়গুলির সম্পর্কিত বিশদ ফলাফল আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরেছি। এই ফলাফল গুলি আপনাদের কাছে এক অমূল্য সম্পদ হয়ে উঠুক - আমরা এই আশা রাখি।

যে কোন ব্যবসায়ে উন্নতি করুন
শুধুমাত্র তন্ত্র মতেই আপনি সাফল্য পেতে পারেন যে কোনও ব্যবসাতেই

জীবনের সকল বাধা দূর করতে শুক্রবার পালন করুন সন্তোষী মায়ের ব্রত, জেনে নিন ব্রত পালনের নিয়ম

হিন্দু শাস্ত্রে যেমন উল্লেখ আছে ৩৩ কোটি দেব-দেবতার। তেমনই বর্ণিত আছে, এই সকল দেব দেবতার পুজোর রীতি। শাস্ত্র মতে, নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে দেবতার ব্রত পালন করলে দূর হবে জীবনের সকল বাধা। আর্থিক সংকট, শারীরিক জটিলতা, পারিবারিক অশান্তি, দাম্পত্য কলহ, চাকরি ক্ষেত্রে বাধার মতো নানান সমস্যায় ভুক্তভোগী অনেকেই। এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মা সন্তোষীর ব্রত পালন করুন। প্রতি শুক্রবার সন্তোষী মায়ের পুজো করতে পারেন। প্রচলিত আছে, ১৬ সপ্তাহ ব্রত রাখলে সকল সমস্যা দূর হবে। জীবন সকল সংকট কাটবে মা সন্তোষীর কৃপায়।

চাকরি ক্ষেত্রে বাধা, ব্যবসায় ক্ষতি, আর্থিক সংকট কাটবে এমনকী সাংসারিক জীবনে সুখের জন্য শুক্রবার সন্তোষী মায়ের পুজো করুন। দেবী সন্তোষী চর্তুভূজা। সন্তোষী মায়ের চার হাতের দুটোতে ত্রিশূল ও তলোয়ার আছে। বাকি দুটো বরাভয় ও সংহার মুদ্রা ধারণ করেন। মায়ের ব্রত পালন করতে, ১৬টি সপ্তাহ ব্রত রাখতে হয়। এই ব্রত পালনে বিশেষ নিয়ম রয়েছে। প্রতি শুক্রবার সকালে স্নান সেরে পরিষ্কার পোশাক পরুন। এবার ঘি-এর প্রদীপ জালুন দেবীর সামনে। ঘট স্থাপন করুন। তবে, এই ঘটে আম পল্লব দেওয়া যাবে না। বট, কাঁঠাল ও পাকুড় পল্লব দিয়ে ঘট স্থাপন করুন। ফুল, বেলপাতা দিন। এবার ব্রত পাঠ করুন। এদিন সকালে উপবাস করে দেবীর পুজো করবেন। উপবাস ভাঙতে দুধ, ছোলা, মিষ্টি, ফল খেতে হয়। এই ব্রত রাখলে টক জাতীয় দ্রব্য ও আমিষ দ্রব্য খাওয়া যাবে না। ১৬ দিন পর ব্রত উদযাপনের দিন ৭টি বালক ভোজন করানোর নিয়ম আছে।

এইসব জিনিস বাড়িতে আনলেই প্রাপ্তি হবে বিপুল অর্থ

জ্যোতিষ মতে এই নিয়মগুলি মেনে পান প্রতিকার

  • ময়ূরের পালক অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন অলঙ্কার কিংবা ঘর সাজানোর নানা জিনিসে ব্যবহার করে থাকেন ময়ূরের পালক। কিন্তু জানেন কী এই সুদৃশ্য ময়ূরের পালক সঠিক ভাবে ঘরে রাখলে তা ঘুরিয়ে দিতে পারে ভাগ্যের চাকা? ঠিক তাই। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ময়ূরের পালক মাথায় ধারণ করে থাকেন। তাই এটি জ্যোতিষশাস্ত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং শুভ বলে বিবেচিত হয়। ঘরে ময়ূরের পালক রাখলে ঘরের মানুষের ভাগ্য সব সময় সদয় থাকে। নতুন বছরে একটি বা তিনটি ময়ূরের পালক ঘরে আনলে সারা বছর অর্থের অভাব হবে না।
  • ধাতব কচ্ছপের মডেল হিন্দুপুরাণ মতে কচ্ছপকে দেবতা রূপে দেখা হয়। নারায়ণের দশ অবতারের মধ্যে দ্বিতীয় অবতার হলেন কূর্ম অর্থাৎ কচ্ছপ। আর তাই এর মূর্তিকে পবিত্র বলে মানেন জ্যোতিষীরা। সবাই চায় নতুন বছরের শুভ সূচনা হোক। এমন পরিস্থিতিতে কিছু জিনিস ঘরে রাখলে বাড়িতে মা লক্ষ্মীর কৃপা বজায় থাকে। বাস্তু মতে বাড়িতে ধাতব কচ্ছপ রাখা শুভ মানা হয়। এটি ঘরে রাখলে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। নতুন বছরে পিতল বা ব্রোঞ্জের ধাতব কচ্ছপের মডেল বাড়িতে আনলে অর্থকষ্ট দূর হবে।
  • সূর্যদেবের ছবি হিন্দু শাস্ত্রে সূর্যদেব হলেন শক্তির প্রধান উৎস। এছাড়া মহাবিশ্বে সূর্যকে প্রাণের ধারক ও বাহক হিসেবে মানা হয়। বাস্তুশাস্ত্রে সূর্যোদয়ের ছবিকে অত্যন্ত শুভ ও ইতিবাচক বলে মনে করা হয়। এটি ঘরে লাগালে শুধু দেয়ালের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি পায় না, এটি বাড়ির প্রতিটি মানুষের ভাগ্যও উজ্জ্বল করে। নতুন বছরে সূর্যোদয়ের ছবি ঘরে টানালে ঘুরে যাবে ভাগ্যের চাকা।
কোন সময়ে কি করবেন
সমগ্র জীবনের কোষ্ঠী "স্বর্ণ চক্র" সংগ্রহ করুন আজকেই

জ্যোতিষশাস্ত্র হল একটি ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বিজ্ঞান যার নিজস্ব পদ্ধতি, দাবি এবং ফলাফল রয়েছে যা চিরকাল অনুপ্রাণিত করে এবং মানুষকে তাদের জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি দেয়। এই দিকগুলির মধ্যে রয়েছে আপনার প্রেম-জীবন, পেশা, ব্যবসা, আর্থিক সমৃদ্ধি এবং আরও অনেক কিছু। এই সমস্ত দিকগুলি আমাদের জীবনকে কোনও না কোনওভাবে প্রভাবিত করে এবং আমরা সাধারণত তাদের ইতিবাচক পথে যেতে চাই। কিন্তু অবশ্যই, এটা সবসময় সম্ভব নয়। এমন এক সময় যখন জ্যোতিষশাস্ত্র  আপনার ত্রাণকর্তা হতে পারে।

আপনার জ্যোতিষ রিপোর্ট গুলি এখানে পাবেন

জীবন থাকলে সেখানে সমস্যাও থাকবে। নানা সমস্যা নিয়ে বেঁচে থাকা খুবই কষ্টের এবং দীর্ঘদিন এভাবে চললে তীব্র হতাশা আসা খুবই স্বাভাবিক। তীব্র হতাশা থেকেই মানসিক রোগের জন্ম হয়। তখন একজনের পক্ষে স্বাভাবিক চিন্তা করা দুঃসাধ্য হয় ওঠে, জীবনকে বোঝা বলে মনে হয়।

চিন্তা করবেন না ... তন্ত্র মতে মুক্তি হবেই

নিজের ভাগ্য ফেরাতে ময়দার লেচির মধ্যে চিনি মিশিয়ে ছোট ছোট গুলির আকারে তৈরি করে পিঁপেড়ের উদ্দেশ্যে রেখে দিন। এতে সমস্ত পাপের মুক্তি ঘটে। এই পূণ্য কাজের জন্য সকল মনের ইচ্ছে পূরণ হয়। এছাড়া জন্তু ও পাখিদের খাওয়ান। হিন্দু শাস্ত্র মতে মনে করা হয় গরু অত্যন্ত পবিত্র ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাহন। তাই গরুকে খাওয়ালে সমস্ত দেবতা সন্তুষ্ট হন অবং তাঁধের কৃপাদৃষ্টি আপনার উপর বজায় থাকবে।

Contact: 98301 43048

বাড়িতে শান্তি বজায় রাখতে

জ্যোতিষ মতে এই নিয়মগুলি মেনে পান প্রতিকার

  • আজকাল অধিকাংশ বাড়িতে সুখ ও শান্তি বজায় থাকে না৷ ঝগড়াঝাটি প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই লেগে থাকে৷ মনে অশান্তি থাকলে আপনি কখনই চিন্তাগ্রস্ত হবেন না, কারণ আপনি এমন কিছু নিয়মের প্রয়োগ করতে পারেন, যাতে আপনি পরিবারের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন৷
    যদি কোনও ব্যক্তি এটা বোঝেন যে, বাড়িতে তার কথা কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না, যদিও সে সঠিক বলে থাকে৷ এরকম সমস্যায় পড়লে নিয়মিত জলে অল্প গুড় মিশিয়ে নিচে দেওয়া মন্ত্রটি জপ করবার সাথে সাথে সূর্যকে অর্ঘ্য দিতে হবে৷
    মন্ত্র : ওঁ ঘৃনিঃ সূর্যায় নমঃ
    পারিবারিক কলহ অথবা বাড়িতে থাকা সদস্যদের নিজেদের মধ্যে  পারস্পরিক বোঝপাড়ায় কোনও সমস্যা হলে মাটির পাত্রে অল্প কাঁচা দুধ (অর্থাৎ যা কিনা আগুনে ফোটানো হয়নি) নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা মধু মেশান ও সেটিকে বাড়ির ছাদে, সমস্ত ঘরে, দালানে ও প্রধান দরজায় ছিটিয়ে দিন৷ অবস্থা স্থিতিশীল হবে৷
  • আমরা ৪৫ দিনের একটি বিশেষ কোর্স তৈরি করেছি। ভারতীয় প্রাচীন বিলুপ্তপ্রায় তান্ত্রিক উপায় প্রয়োগে এক জীবনে সফলতা প্রাপ্তির বিরাট সুযোগ। 
  • এই সুযোগ মাত্র ৯৯৯৯/- টাকায়

জ্যোতিষ মতে এই নিয়মগুলি মেনে পান প্রতিকার

জীবনে অর্থ রোজগার করা সবার জন্যই জরুরি। তার জন্য কেউ চাকরি করেন, কেউ স্বাধীন ভাবে ব্যবসার পথ বেছে নেন। কিন্তু পেশার ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। আমাদের মধ্যে অনেকেই হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও চাকরি পান না। বা হাজার চেষ্টা করেও ব্যবসায় সাফল্য অধরাই থেকে যায়। অনেক সময় দেখা যায় চাকরি পেয়েও কর্মক্ষেত্রে কোনও না কোনও সমস্যা লেগেই আছে। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে যে এই সবকিছুর সমাধান সম্ভব। জেনে নিন পেশাগত সাফল্যের জন্য সহজ জ্যোতিষ টোটকা।

বাড়ির পূর্ব, উত্তর বা পূর্ব উত্তর দিকে কুবের যন্ত্র রাখুন। মিলবে উপকার। সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবতা হিসাবে ভগবান কুবেরকে ধরা হয়। ঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে কুবেররের স্থান। তাই এদিকে জুতোর কোনও র‍্যাক, কোন জুতা, বা কোন আসবাবপত্র রাখা উচিত নয়। যদি বাড়ির দেওয়ালে কুবের যন্ত্র বা আয়না রাখেন তাহলে তা পরিবারের জন্য ভালো হয়। আর্থিক সম্পদে ভরে থাকবে আপনার জীবন।
আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে বা প্রচুর অর্থ পেতে, মাঘী পূর্ণিমায় দেবী লক্ষ্মীকে ১১টি কড়ি অর্পণ করুন। এই কড়িগুলিতে হলুদ দিয়ে তিলক লাগান, পুজো করুন এবং পরের দিন লাল কাপড়ে বেঁধে যেখানে অর্থ রাখেন, সেখানে রাখুন। কিছু দিনের মধ্যে আপনার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করবে।
প্রথম নিয়ম : কোনও হনুমান মন্দিরে নিজের সাথে একটি লেবু ও চারটি লবঙ্গ নিয়ে যান৷ এরপর হনুমানজির সামনে লেবুর উপরে চারটি লবঙ্গ অর্পণ করুন৷ তারপর হনুমান চালিসা পাঠ করুন অথবা হনুমান মন্ত্রের জপ করুন৷ মন্ত্র জপের পরে হনুমানজির কাছে সফলতার জন্য কামনা করুন ও এই লেবুগুলি নিজের কাছে রেখে দিন৷ লেবুর প্রভাবে আপনার কার্যে সফলতা পাবার আশা যথেষ্ট বৃদ্ধি পাবে৷
দ্বিতীয় নিয়ম : একটি নারকেল নিয়ে হনুমান মন্দিরে যান৷ হনুমানজির মূর্তির সামনে নারকেলটিকে নিয়ে নিজের মাথার উপর চারদিকে ৭ বার ঘুরিয়ে নিন৷ এর সাথে হনুমান চালিসার পাঠ করুন৷ মাথার উপর থেকে নারিকেলটি ঘোরানোর পরে হনুমানজির সামনে ভেঙে ফেলুন৷ সেই সময় থেকে আপনার সমস্ত বাধা দূর হয়ে যাবে৷
তৃতীয় নিয়ম : আপনাকে প্রতি রাতে হনুমানজির সামনে একটি প্রদীপ জ্বালাতে হবে৷ রাত্রে হনুমান মন্দিরে গিয়ে সেখানে একটি চারমুখী প্রদীপ জ্বালান৷ এর সাথে হনুমান চালিসা পাঠ করুন৷ এভাবে প্রতিদিন করলে অনেক কঠিন সমস্যাও খুব সহজেই শেষ হয়ে যাবে৷
পূর্ব দিকে মাথা দিয়ে ঘুমালে বিদ্যায় প্রখর বুদ্ধি হয়৷
পণ্ডিতদের মত অনুযায়ী বিদ্যা প্রাপ্তির জন্য ৪ মুখী ও ৬ মুখী রুদ্রাক্ষ লাল সুতায় ধারণ করলে ব্যক্তির বুদ্ধি প্রখর ও বাক্যে মধুরতা ভাব আসে৷
পড়াশোনার টেবিলে কাঁচের শ্রী যন্ত্রম স্থাপন করলে স্মরণ শক্তি তীব্র হয়ে থাকে ও খারাপ চিন্তাধারা মন থেকে দূর হয়ে যায়৷ মা সরস্বতী ও লক্ষ্মীর কৃপা সর্বদা সঙ্গে থাকে৷
নিজের পুজোর স্থানে সরস্বতী যন্ত্রম স্থাপন করে প্রতিদিন ধূপদীপ দ্বারা আরতি করলে মা সরস্বতীর কৃপা সর্বদা সঙ্গে থাকে৷
হামেশাই দেখা যায় যে কোনও ব্যক্তি ঘুমের ঘোরে সবসময় ভয়ের স্বপ্ণ দেখতে থাকে ও চমকে জেগে উঠে৷ এই পরিস্থিতিতে যে দিকে পা করে শুয়েছেন সেই দিকে মাথা করে অর্থাৎ মাথাটি ঘুরিয়ে নিন তাহলে ভয়ের স্বপ্ণ দেখা বন্ধ হয়ে যাবে ও গভীর ঘুম আসবে৷
যদি কোনও ব্যক্তিকে ঘুমানোর সময় প্রেতাত্মা বিরক্ত করে ও ঘুমোতে না দেয় তাহলে শোবার আগে নিম্ন মন্ত্রগুলি উচ্চারণ করলে প্রেতাত্মা আর বিরক্ত করবে না ও ভয়রহিত ঘুম আসবে৷ ‘হনুমান কো ওমকার মেরি তরফ কোই বুড়ি বলা আয়ে তো লগে খুন সে ভরী তলোয়ার৷’
যে কোনও ব্যক্তির জীবনে জ্ঞানত অথবা অজ্ঞানতাবশত অনেক শত্রুর সৃষ্টি হয়৷ অনেক সময় এমন দেখা গেছে যে তার পরিবারে এক প্রকারের ‘নজর’ লেগে যায়৷ এর থেকে মুক্তি পাবার জন্য মঙ্গলবার অথবা শনিবার সন্ধ্যার সময় ৬টি ধূপকাঠি জ্বালিয়ে মন্দিরে বা নিজের বাড়িতে ইষ্টদেবতাকে মনে মনে স্মরণ করে লাগিয়ে দিন৷ এবার অল্প পরিমাণে গুঁড়ো নুন নিয়ে চারকোণায় ছড়িয়ে দিন, আর পরেরদিন ঝাড়ু দিয়ে ঘরের বাইরে ফেলে দিন৷ সমস্ত নজর দূর হয়ে যাবে৷
কার্যসিদ্ধি সম্পন্নের জন্য
বুধবার দিন এক বাটি বাসমতি চাল দান করুন৷ ঋণ মুক্তি, অর্থ প্রাপ্তি, ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য চকচকে লাল রঙের কাপড় নিয়ে কোনও জায়গায় পাতুন৷ এতে লাল চন্দনের টুকরো, লাল গোলাপ ফুল, কুমকুম ও ৫৮টি এক টাকার কয়েন রাখুন৷ তারপর কাপড়ে সমস্ত জিনিস মুড়ে একটি পুটলি বানিয়ে নিজের ব্যবসাক্ষেত্রে অথবা আলমারি ও ক্যাশ বাক্সে রেখে দিন৷ ৬ মাস পরে পুনরায় নবরাত্রির অষ্টমীতিথিতে এই ক্রিয়াটি করুন৷
অর্থ প্রাপ্তির জন্য
এই ক্রিয়াটি শুধুমাত্র মঙ্গলবার থাকে করতে হবে৷ ২২ টি অশ্বত্থ গাছের পাতা ধুয়ে নিন৷ পূর্ব দিকে মুখ করে প্রত্যেকটি পাতায় ‘রাম’ লিখুন ও এটিকে হনুমানজির চরণে অর্পণ করুন৷
হীরা ধারণ করলে ভূত-প্রেত সংক্রান্ত ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷
হীরা ধারণ করলে ব্যক্তির সুখ-সমৃদ্ধি, মান-সম্মান ইত্যাদি সমস্ত সুখ প্রাপ্তি হয়৷
হীরাতে বশীকরণের অদ্ভূত ক্ষমতা দেখতে পাওয়া যায়৷
বংশ বৃদ্ধির জন্য হীরা ধারণ করা অত্যন্ত লাভদায়ক হয়ে থাকে৷
হীরা ধারণ করলে বৈবাহিক জীবনে সুখ প্রাপ্তি হয়ে থাকে৷
হীরা ধারণ করলে শুক্র জনিত রোগে ফল পাওয়া যায়৷
গণেশজির তুলসী পাতা ছাড়া বাকি সব পাতা প্রিয় হয়ে থাকে৷
বাবা ভৈরবের পুজোতে তুলসীর ব্যবহার করা যায় না৷
রবিবারে তুলসী পাতা ছেঁড়া যায় না এবং ওইদিন দুর্বাও তোলা যায় না৷
হাতে ধারণ করা ফুল, তামার পাত্রে চন্দন দেবতাদের অর্পণ করা উচিত নয়৷
প্রদীপ থেকে প্রদীপ জ্বালালে প্রাণী দরিদ্র ও রোগী হয়৷ দক্ষিণ দিকে প্রদীপকে রাখবেন না৷ দেবীকে বাঁ দিকে ও ডান দিকে প্রদীপ রাখুন৷
আসন, শয়ন, দান, ভোজন, বস্ত্রসংগ্রহ, বিবাদ ও বিয়ের সময়ে হাঁচি দেওয়া শুভ হয়ে থাকে৷
শনিবার, মঙ্গলবার, বুধবার ও শুক্রবার লক্ষ্মীর পুজো করা উচিত নয়৷
যে ব্যক্তি স্নানের বস্ত্র পরিধান করে নিজের শরীর মুছে থাকে, তাদের শরীর কুকুরের জিভ সমান চাটা হয়ে থাকে৷ তাদের শুদ্ধিকরণ পুনরায় স্নানের পরে হয়৷    
যদি অনেক চেষ্টা করেও চাকরি না পান, তাহলে আপনার সহায় হতে পারে বিউলির ডাল। ৩০০ গ্রাম কালো বিউলির ডাল পিষে আটা তৈরি করে নিন। এই আটা দিয়ে কম আঁচে রুটি তৈরি করুন। সেই রুটির ছোট ছোট গুলি করে তা মাছকে খাওয়ান। কোনও একটা সোমবার থেকে এই কাজ করা শুরু করুন এবং টানা ৪০ দিন ধরে করে যান। এর ফলে চাকরি না পাওয়ার সমস্যা মিটবে বলে মনে করা হয়।
পেশাগত ক্ষেত্রে যাঁরা চেষ্টা করেও সাফল্য পাচ্ছেন না, তাঁরা প্রতিদিন ২১ বার করে এই মন্ত্র পাঠ করুন, ‘ওম হ্রিম ভগদিনী ভগবতী মম কার্যসিদ্ধি করি করি ফট স্বহা।’ টানা ১১ দিন ধরে এই মন্ত্র পাঠ করতে হবে। সাদা আসনে পূর্ব দিকে মুখ করে বসে এই মন্ত্র পাঠ কবেন। সঙ্গে হাতে ক্রিস্টালের মালা থাকলে খুবই ভালো। সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে ভগবানকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না।
ব্যবসা করতে গিয়ে যদি সমস্যার মুখে পড়েন তাহলে আপনাকে যে মন্ত্র পাঠ করতে হবে, তা হল – ‘ওম নমহঃ ভগবতে পদ্মপাদমাত্যা ওম পূর্বায় দক্ষিণায় পশ্চিমে উত্তরায়ে অন্নপূর্ণা স্থ সর্ব জন বশ্যম কারোটি স্বহা।’ এই মন্ত্র নিয়মিত পাঠ করলে ব্যবসায় আসা যাবতীয় সংকট কেটে যাবে বলে মনে করা হয়।
এই মন্ত্র একজন অনুশীলনকারী দ্বারা এক মাস, দৈনন্দিন ভিত্তিতে অনুশীলিত হবে। শুক্লপক্ষের প্রথম বুধবার এই মন্ত্রকে অনুশীলন করা শুরু করতে হবে।  অনুশীলনকারী তাঁর জীবনের আর্থিক সুখের দেবী মহালক্ষ্মীকে গভীর উপাসনার জন্য এই পদ্ধতিটি করবেন এবং আর্থিক সঙ্কটের থেকে  ত্রাণ পাবেন, যা তাঁর জীবনযাপনের জন্য খুবই প্রয়োজন।
অনুশীলনকারী এই মন্ত্রকে পূর্ব দিকে মুখোমুখি হয়ে জপ করবেন এবং তাঁর  সামনে দেবী মহালক্ষ্মীর একটি মূর্তি স্থাপন করবেন বা একটি চিত্র, যেটি তাঁকে গভীর ভাবে একান্ত মনে উপাসনা বা জপ করতে হবে।
তিনি একটি প্রদীপ ও কিছু সুগন্ধি ধূপকাঠি জ্বেলে নেবেন।  এবং মন্ত্রটিকে ১০৮ বার মনোনিবেশ এবং একটি ধ্যানের ভঙ্গির  সঙ্গে জপ করবেন।  এইভাবে, তিনি তাঁর জীবনের চরম আর্থিক সংকট থেকে পরিত্রাণ পেতে দেবী মহালক্ষ্মীর আশীর্বাদ অর্জন করবেন।  অনুশীলনকারী এক মাসের জন্য বিরতি ছাড়াই অনুশীলন করবেন এবং ফললাভ করে প্রকৃত শান্তিলাভ করবেন।
মন্ত্র : ” ওঁ শ্রীং শ্রীং শ্রীং কমলে কমলালয়ে ,
প্রসীদ প্রসীদ শ্রীং ওঁ মহালক্ষ্যৈ নমঃ”
প্রতিটি কাজের সাফল্যে আসতে থাকবে তার চারপাশে সমস্ত নেতিবাচক প্রভাব ধ্বংস হবে এবং তিনি সকল কুপ্রভাব থেকে ত্রাণ পাবেন এবং উজ্জ্বল সৌভাগ্য লাভ করবেন।  আমার ব্লগ পাঠক এই অনুশীলন থেকে একটি উপযুক্ত ফলাফল পেলে, আমি খুব খুশি হব।  আমি আমার প্রত্যেক প্রবন্ধের জন্য পাঠকদের নিকট থেকে ইতিবাচক মন্তব্য আশা করি।
মন্ত্র : ” ওঁ সৌভাগ্যায় নমঃ ” 
এই মন্ত্রটি জপ করা খুব সহজ এবং নিয়মিত ভাবে সাধনা করাও  খুব সহজ, নিয়মিত ভাবে, সঠিক ভাবে জপ করলে, সুফল পাওয়া অবশ্যম্ভাবী।  সকালে, যখন ঘুম থেকে উঠে, কারো সাথে আলাপ না করে  বা কথা না বলে, আপনি আপনার বিছানায় উত্তরদিকে মুখ করে বসবেন এবং ১০৮ বার মন্ত্রটিকে জপ করবেন, ধ্যানের মত বসে, একই ছন্দে মন্ত্রটি জপ করবেন।
জপ সংখ্যা রাখতে, নকুলদানা ব্যবহার করবেন।  ১০৮ টি নকুলদানা একটি কাঁচের বোতলে রাখবেন। যখন জপ করবেন, তখন দুটি কাঁচের বা পাথরের বাটি সামনে নিয়ে নেবেন। একটি বাটিতে ১০৮টি নকুল দানা থাকবে, অপর বাটি খালি থাকবে। একবার জপ করে, একটি নকুলদানা খালি বাটিতে রাখবেন। ১০৮ বার জপ হয়ে গেলে আগের খালি বাটিটি ভর্তি হয়ে যাবে। উদাহরণ, মন্ত্র (১) … মন্ত্র (২) … মন্ত্র (৩) থেকে মন্ত্র (১০৮) আবার জপ হয়ে গেলে নকুলদানা গুলি বোতলে ভরে রাখবেন।
জপ করবেন, আত্মবিশ্বাসের সাথে। যখন জপ শেষ হবে, তখন কারো সাথে আলাপ না করে আপনি ছাদে যাবেন এবং একের পর এক করে আপনি ছাদের চার কোণে চলে যাবেন, তারপর এই মন্ত্রকে ১০ বার বলে একটি কোনে ফুঁ দেবেন। এইভাবে প্রতি কোনে ১০ বার করে বলে ও ফুঁ দিয়ে ছাদ থেকে নেমে আসবেন। প্রতিদিন এই তন্ত্র ও মন্ত্র অনুশীলন করলে, আপনার আর্থিক সমস্যা অদৃশ্য হয়ে যাবে!
মন্ত্র : ” ওঁ নমো ভগবতী পদ্ম পদ্মাবতী ওঁ হ্রীং শ্রীং ওঁ পূর্বায় দক্ষিণায় পশ্চিমায় উত্তরায় আন পুরয় সর্বজন বশ্যং কুরু কুরু স্বাহা “
দুর্গে স্মৃতা হরসি ভীতিমশেষজন্তোঃ স্বস্থৈঃ স্মৃতা মতিমতীব শুভাং দদাসি। দারিদ্র্যদুঃখভয়হারিণি কা ত্বদন্যা সর্বোপকারকরণায় সদার্দ্রচিত্তা।।
‘ওঁ দ্বৌঃ শান্তিরন্তরিক্ষক্ষং শান্তি/ পৃথ্বী শান্তিরাপঃ শান্তিরোষধয়ঃ শান্তি/ বনস্পতয়ঃ শান্তির্বিশ্বেদেবাঃ শান্তির্ব্রহ্ম শান্তিঃ/ সর্ব শান্তিঃ শান্তিরেব শান্তিঃ সা মা শান্তিরেধি/ ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি’

মেষ

মেষ রাশি -চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, ব্যক্তিত্ব এবং ব্যবহার

মেষ রাশির জাতকদের উপর সব থেকে বেশি প্রভাব থাকে লালগ্রহ মঙ্গলের। ফলে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের আবেগ ও স্বভাবের উপর এই গ্রহের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ফলে এরা সব সময় কোনও কিছুর সব থেকে ভালো দিকটা আগে দেখে এবং পজিটিভিটির মাধ্যমে যে কোনও চ্যালেঞ্জের সঙ্গে এরা যুঝতে পারে।

প্রতীক :মেষ রাশির প্রতীক হল এক ধরনের ভেড়া, এদের বড় বাঁকানো শিং হয়। এই ভেড়া বেশ সাহসী, নির্ভীক প্রকৃতির হয়। আর মেষ রাশির জাতক-জাতিকারা তাদের রাশির প্রতীকের মতো গুণের অধিকারী হয়। তাই এরা সাধারণত বাধা-বিপত্তিহীন ভাবে নিজেদের মতো করে জীবন কাটাতে পছন্দ করে। তবে মেষ রাশির জাতক-জাতিকারা কখনওই নিজেদের আদর্শ, ভাবনা এগুলোর সঙ্গে আপোষ করে না।

শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য: :এই রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত নিজেদের এবং নিজেদের চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে পছন্দ করে। এরা সাধারণত চোখ-কান খোলা রাখতে পছন্দ করে। আর এদের মুখের গড়ন লক্ষ করলে বোঝা যাবে যে, এদের ভুরুর উপরের অংশ বাঁকানো থাকে। তবে যে কাজই এরা হাতে নিক না-কেন, সেই কাজের ক্ষেত্রে এদের মূল লক্ষ্য থাকে নিরাপত্তা।

ব্যক্তিত্ব: :এরা সাধারণত পরোপকারী প্রকৃতির হয়। এদের চিন্তা-ভাবনা এবং পরিকল্পনা করার গুণটা অসাধারণ।

শখ: :এরা সাধারণত সেই সব কাজের দিকে যায়, যেখানে সে ভাবে কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। তবে প্রচুর পরিমাণে লাভ আসে। আর তা ছাড়াও এরা এমন কাজ পছন্দ করে, যেখানে এরা নিজেদের প্রতিভা সকলের সামনে তুলে ধরতে পারবে। মেষ রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অভিনয়, নাচে আগ্রহী হয়।

দোষ: :এরা খুব সহজেই রেগে যায় এবং নিজেদের অপমান সহ্য করতে পারে না। যে হেতু এরা জেদী প্রকৃতির হয়, ফলে এরা নিজেদের দোষ-ত্রুটি সহজে স্বীকার করতে চায় না। পরিবারের কোনও এক জনের সঙ্গে এদের সব সময় ঝামেলা থাকেই।

পড়াশোনা ও ব্যবসা: :এরা সব কিছু মস্তিষ্ক দিয়ে বিচার করে থাকে। ফলে শিক্ষার দিকে এরা বেশ সফল হয়। রিয়াল এস্টেট, সম্পত্তি, খনি, কয়লা- এ সব ক্ষেত্রে ব্যবসায় এরা প্রচুর লাভের মুখ দেখে।

প্রেমজীবন: :মেষ রাশির জাতকরা প্রেমেপ ক্ষেত্রে পুরোপুরি সফল হয় না। নিজেদের পছন্দের মনের মানুষ এরা সহজে পায় না। এই রাশির জাতিকারা সাধারণত একটু অহঙ্কারী গোছের হয় এবং এরা কোনও কিছুতেই সন্তুষ্ট হয় না।

বিবাহিত এবং গার্হস্থ্য জীবন: :মেষ রাশির জাতকেরা সাধারণত চায় যে, তাদের স্ত্রীরা যেন আকর্ষণীয় হয়। সাধারণত প্রেমে নিশ্চয়তা থাকলে তবেই এরা সম্পর্কে এগোয়। স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এরা ভীষণ রকম আদর্শবাদী হয়। আর মেষ রাশির জাতক-জাতিকারা সমাজে খুবই সম্মান লাভ করে।

বন্ধুভাগ্য: :এই রাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গে কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের দারুণ সম্পর্ক হয়। এ ছাড়াও সিংহ, ধনু এবং মিথুন রাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গেও মেষ রাশির জাতক-জাতিকাদের দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়।

লাকি নম্বর: :৯

লাকি রং: :সাদা

.লাকি দিন: :মঙ্গলবার

লাকি জেমস্টোন: : প্রবাল

বৃষ

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, ব্যক্তিত্ব এবং ব্যবহার:

বৃষ রাশিকে নিয়ন্ত্রণকারী মূল গ্রহ হল শুক্র। এই রাশির জাতক-জাতিকারা যে কোনও মূল্যে নিজেদের পরিশ্রমের দীর্ঘস্থায়ী ফল চায়। এরা কাজ হাতে নেওয়ার আগে বিশেষ চিন্তা-ভাবনা করে না। যে কোনও কাজে লেগে পড়তে পারে। এই কারণে হামেশাই সমস্যার সম্মুখীন হয় এরা।

প্রতীক: : এই রাশির প্রতীক হল- ষাঁড়। আর স্বভাবের দিক থেকে ষাঁড় সাধারণত কঠোর পরিশ্রমী হয়। আর ষাঁড় ভীষণ রকম শান্ত থাকতে পারে, কিন্তু প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হলে কোনও হিতাহিত জ্ঞান থাকে না এদের। আর বৃষ রাশির জাতকদের মধ্যে ষাঁড়ের এই বৈশিষ্ট্যগুলোই দেখা যায়।

শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য: :বৃষ রাশির জাতক-জাতিকাদের মুখে সব সময় হাসি লেগেই থাকে, এদের ত্বকবৃষ রাশি — ও বেশ নরম হয়। সেই সঙ্গে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের ঠোঁটও বেশ মসৃণ হয়।

ব্যক্তিত্ব: :এরা বেশ শান্ত ধীর-স্থির প্রকৃতির হয়। যে হেতু এদের কথা বলার ক্ষমতা অসাধারণ, ফলে বাচনভঙ্গিতেই মূলত এরা সাফল্য অর্জন করতে পারে। তবে বৃষ রাশির জাতক-জাতিকাদের বোকা বানানো সহজ নয়।

শখ: : এরা সাধারণত বই পড়তে বিশেষ করে জ্যোতিষ সম্পর্কিত বই পড়তে পছন্দ করে। শুধু তা-ই নয়, এরা খেলাধূলা, নাচ এবং আরও নানা কাজে এঁদের দারুণ আগ্রহ। বৃষ রাশির জাতক-জাতিকারা খুবই কৌতূহলী হয় এবং সব সময় নতুন কিছু করতে অথবা নতুন জায়গায় ঘুরতে এরা খুবই ভালোবাসে।

দোষ: : এরা সাধারণত জেদী স্বভাবের হয়। যদিও এদের মধ্যে আলস্যও দেখা যায়। এই রাশির জাতক-জাতিকারা কোনও জিনিস গুছিয়ে রাখতে পারে না এবং অন্যান্য রাশির জাতক-জাতিকাদের তুলনায় এরা একটু গোঁড়া প্রকৃতির হয়।

শিক্ষা ও ব্যবসা: :এরা ভীষণ রকম বিশ্বস্ত, কঠোর পরিশ্রমী, সহনশীল প্রকৃতির হয়। ফলে এরা সব ক্ষেত্রে যেমন- এগ্রিকালচার, ব্যাঙ্কিং, মেডিক্যাল, অ্যাকাডেমিকস এবং কনস্ট্রাকশনের কাজে পারদর্শী হয়। আর কঠোর পরিশ্রম দিয়ে এরা সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যায়।

প্রেমজীবন: :এদের ভালোবাসা অত্যন্ত গভীর এবং মজবুত হয়। সম্পর্কে মিথ্যা এরা একেবারেই সহ্য করতে পারে না। বৃষ রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে পছন্দ করে।

বিবাহিত এবং গার্হস্থ্য জীবন: :এরা ভীষণ সৎ এবং বিশ্বস্ত হয়। মানুষের প্রয়োজনে এরা ঝাঁপিয়ে পড়তে পিছপা হয় না। আর বৃষ রাশির জাতক-জাতিকারা তাই বিবাহিত জীবন দারুণ ভাবে উপভোগ করতে চায়।

বন্ধুভাগ্য: : এরা সাধারণত মিথুন, কন্যা এবং মকর রাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পছন্দ করে। মেষ এবং বৃষ রাশির জাতক-জাতিকাদের মধ্যে কিছু ভাবনাগত পার্থক্য থাকে। তবুও এরা নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে।

লাকি নম্বর: : ৬

লাকি রং: :নীল ও পার্পল

লাকি দিন: : শুক্রবার

লাকি জেমস্টোন: : হীরে:

মিথুন

মিথুন রাশি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, ব্যক্তিত্ব এবং ব্যবহার:

এই রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর বুধ গ্রহের প্রভাব বেশি থাকে। ফলে এরা উপস্থিত বুদ্ধির অধিকারী হয় এবং অত্যন্ত প্রাণোচ্ছল হয়ে থাকে। যে হেতু সব বিষয়ে এরা খুবই কৌতূহলী হয়, তাই বেশ চতুর প্রকৃতিরও হয়। যে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে অথবা যে কোনও ভিড়ে এদের আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা যায়।

প্রতীক :মিথুন রাশির প্রতীক হল যমজ। ফলে এরা বেশ আকর্ষনীয় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ হয়। আর মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা বুদ্ধিমান এবং বাকপটুও হয়ে থাকে।

শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য: : মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত গড়পড়তা উচ্চতার তুলনায় লম্বা হয়ে থাকে। এদের চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হয়। পাতলা চুল, সরু নাক, লম্বা বাহু এবং তীক্ষ্ণ চিবুক- এদের শারীরিক গঠনের বিশেষত্ব। এরা নির্ভীক ভাবে এবং সোজাসাপটা কথা বলতে ভালবাসে।

ব্যক্তিত্ব: :মিথুন রাশির জাতকেরা সাধারণত ভীরু এবং অধীর প্রকৃতির হয়ে থাকে। তবে এদের চরিত্র এবং ব্যক্তিত্ব অপরকে মুগ্ধ করে। এই রাশির জাতকদের রাজনৈতিক বিষয়ে দারুণ জ্ঞান থাকে। এরা সাধারণত ধর্মপ্রাণ হয় এবং দান-ধ্যান করতে পছন্দ করে। তবে এরা লক্ষ্যে সব সময় স্থির থাকে।

শখ: : ঘোরা, সেলাই করা, বই পড়া, মুভি দেখা এবং আরও নানা কিছু করতে পছন্দ করে মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা। অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করার বিশেষ ক্ষমতা এদের মধ্যে রয়েছে।

দোষ: : মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত সাহসী হয়। এ ছাড়াও ভাল-মন্দ বিচার না করেই অনেক বিষয়ে জড়িয়ে যায়। তবে যখন অপ্রস্তুতে পড়ে যায়, তখন সেই কাজ মাঝপথে ছেড়ে বেরিয়েও আসে এরা।

শিক্ষা ও ব্যবসা: : নানা রকম বৈচিত্র্যময় বিষয়ে এই রাশির জাতকদের আংশিক জ্ঞান থাকে। তবে চাকরির ক্ষেত্রে এরা যতটা সাফল্য লাভ করে, ব্যবসায় সেটা পায় না। তাই মিথুন রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য পরামর্শ, চাকরির জন্য তৈরি হতে পারেন, যাতে একটা আরামদায়ক পেশাদার জীবন লাভ করতে পারেন।

প্রেমজীবন: :সাধারণত যারা শিল্প, সঙ্গীত এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক বিষয়ের সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রতিই আকৃষ্ট হয় মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা। কাউকে পরোয়া করা এদের ধাতে নেই, ফলে প্রেমও বিশেষ টেকে না।

বিবাহিত এবং গার্হস্থ্য জীবন: :এরা সাধারণত একের বেশি প্রেমঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারে। আর পরিবারের সবার বিপদে আপদে ঝাঁপিয়ে পড়লেও তার সঠিক মূল্য এরা পায় না।

বন্ধুভাগ্য: : সাধারণত বৃষ, কন্যা, সিংহ এবং তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে মিথুন রাশির জাতক-জাতিকাদের। তবে কর্কট রাশির জাতক-জাতিকাদের থেকে কিন্তু সাবধান।

লাকি নম্বর: : ৫

লাকি দিন: :বুধবার

লাকি জেমস্টোন: : পান্না

কর্কট

কর্কট রাশি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, ব্যক্তিত্ব এবং ব্যবহার:

মূলত কর্কট রাশিকে নিয়ন্ত্রণ করে চন্দ্র। এদের সাধারণত নিজের বাড়ি এবং পরিবারের প্রতি আলাদাই একটা টান থাকে। স্বভাবের দিক থেকেও বেশ আবেগপ্রবণ এবং সংবেদনশীল হয় এরা। তবে রাগ বা মেজাজ এদেরকে রূঢ় করে তোলে।

প্রতীক:এই রাশির প্রতীক হল কাঁকড়া। ফলে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের মধ্যে সংবেদনশীলতা, ভীরুতা, সূক্ষ্মতা এবং দয়াশীলতার মতো আবেগ বিরাজ করে। আর অন্যরা কী ভাবছেন, সেটা কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সহজেই বুঝতে পারেন।

শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য:এদের উচ্চতা সাধারণ হয়। কর্কট রাশির জাতক-জাতিকাদের আঙুল সাধারণত মোটা হয় এবং হাতের তালু বেশ নরম হয়। এদের মাথায় তিল থাকতে পারে।

ব্যক্তিত্ব:এই রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত নিজেদের লক্ষ্যে স্থির থাকে এবং কখনও কখনও দুর্বলও হয়ে পড়ে। এরা আবেগপ্রবণ হয় এবং অন্যদের জীবনের প্রতি নজরও থাকে এদের। কোনও কাজ এরা হাতে নিলে সেটা সাফল্যের সঙ্গে শেষ করে এরা।

শখ:এরা অন্যদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় এবং দান-ধ্যানের মতো কাজেও এদের খুবই উৎসাহ থাকে। তা ছাড়া কর্কট রাশির জাতকেরা এমন কাজ করে, যা তাদের মনকে আনন্দ দেয়।

দোষ: কেউ যদি কর্কট রাশির জাতক-জাতিকাদের বিরুদ্ধাচারণ করে, তা হলে এরা তাদের এড়িয়ে চলে। এমনকী ঘনিষ্ঠ বন্ধুর ক্ষেত্রেও বিষয়টা আলাদা হয় না। এদের অদ্ভুত কিছু শিশুসুলভ ইচ্ছে থাকে, যা পূরণ না হলে এরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

শিক্ষা ও ব্যবসা:দর্শন, অর্থনীতি, অভিনয়, নার্সিং, আইনবিদ্যা, ইঞ্জিনিয়ারিং, জ্যোতিষবিদ্যা, অঙ্ক, এডুকেশন — এই সব বিষয়ে খুবই আগ্রহ রয়েছে কর্কট রাশির জাতকদের। মাথা খাটিয়ে এরা কাজ করতে পছন্দ করে, ফলে যে কোনও বিষয়ে সাফল্য লাভ করতে সক্ষম হয় এরা।

প্রেমজীবন:প্রেম ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই রাশির জাতক-জাতিকারা বেশ সিরিয়াস হয়। প্রেমঘটিত সম্পর্কের ক্ষেত্রে এরা নিজেদের পুরোটাই দেয়, ফলে অপর সঙ্গীর থেকেও সেটাই আশা করে। তবে প্রেমে অনেক সময় ব্যর্থতাও আসে। তাই এ সব ক্ষেত্রে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের একটু সাবধানে পা ফেলতে হবে।

বিবাহিত এবং গার্হস্থ্য জীবন:বিবাহিত এবং গার্হস্থ্য জীবন:

বন্ধুভাগ্য:নিজেদের জীবনসংক্রান্ত কোনও বিষয়ে এদের সঙ্গীরা নাক গলাক, সেটা এরা পছন্দ করে না। এরা বেশ সৎ এবং বিশ্বস্ত প্রকৃতির হয়। এই রাশির জাতকেরা সাধারণত একটু স্ত্রৈণ প্রকৃতির হয়। আর এদের ঘরে কোনও রকম অশান্তি বা ঝগড়া হয় না।

লাকি নম্বর: ২ এবং ৭

লাকি রং: সাদা, হালকা নীল, ক্রিম রং

লাকি দিন:সোমবার

লাকি জেমস্টোন:মুক্তো

সিংহ

সিংহ রাশি–চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, ব্যক্তিত্ব এবং ব্যবহার:

সিংহ রাশিকে প্রভাবিত করে সূর্য। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের মধ্যে সম্মান, আত্মবিশ্বাস, সাহস, গর্ব – এই বিষয়গুলোকে নির্ধারণ করে সূর্য।

প্রতীক:এই রাশির প্রতীক হল- সিংহ। আর এই রাশির জাতক-জাতিকারাও সিংহের মতো নির্ভীক, সাহসী এবং বলিষ্ঠ হয়ে থাকে।

শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য:সাধারণত এই রাশির জাতক-জাতিকাদের মস্তিষ্ক পরিণত হয়, আর স্বাভাবিকের তুলনায় মাথা বড় হয়। এদের চোখ এবং মুখের গড়ন অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে থাকে এবং এদের চোখে সব সময় একটা আলাদাই জৌলুষ থাকে। আর গলার স্বরও খুব ভারী হয়, ফলে এদের কথাবার্তা শুনতে বেশ লাগে।

ব্যক্তিত্ব:এরা জীবনের থেকে একটু বেশিই আশা করে ফেলে, ফলে কখনও কখনও ব্যর্থতাও এদের গ্রাস করে। সাধারণত এরা উচ্চাকাঙ্খী, ইতিবাচক হয়। কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে নিজেদের কাজ সম্পন্ন করে সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারা। আর কারওর প্রতি ঘৃণা বা অতিরিক্ত ভালবাসা কোনও অনুভূতিই এদের সে ভাবে থাকে না।

শখ:ঘুমোনো, ফিল্ম দেখা, নানা রকম জিনিস সংগ্রহ করে বেড়ানো, ভাল ভাল জামাকাপড় পরা, ভাল ভাল খাবার খাওয়া — এ সবই এদের অত্যন্ত পছন্দের বিষয়।

দোষ:এরা সাধারণত নিজেদের অতীত আর ভবিষ্যতের ব্যাপারেই আকাশ-পাতাল ভাবনা-চিন্তা করে সময় নষ্ট করে। অথচ বর্তমানের বিষয়ে ভেবে সময় কাটায় না এরা। শুধু তা-ই নয়, অল্পেতেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে এরা।

শিক্ষা ও ব্যবসা:সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারা প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই সাফল্য পায়। মেডিসিন, পেডিয়াট্রিকস, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, সাহিত্য, সাংবাদিকতা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, জ্যোতিষবিদ্যা প্রভৃতি বিষয়ে এরা দারুণ সফল হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, ধাতু অথবা পাথর সংক্রান্ত ব্যবসাতেও এরা বেশ সাফল্য অর্জন করতে পারে।

প্রেমজীবন:প্রেম এদের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তবে অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এদের জীবনে প্রেম আসে। এরা সঙ্গীর ভালো ড্রেসিং সেন্স, অমায়িক ব্যবহার ইত্যাদিতে আকর্ষিত হয়।

বিবাহিত এবং গার্হস্থ্য জীবন: বিয়ের ক্ষেত্রে সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারা বেশ বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়। তবে বিয়ে ভালো ভাবে হয়ে গেলে সৌভাগ্যের দিক থেকে এদের ফিরে তাকাতে হয় না। এই রাশির জাতক-জাতিকারা নিজেদের মায়ের খুবই কাছের হয়।

বন্ধুভাগ্য:মেষ, কর্কট, মিথুন, বৃশ্চিক, ধনু, কন্যা এবং মীন রাশির জাতক-জাতিকারা সিংহ রাশির জাতক-জাতিকাদের ভালো বন্ধু হতে পারে। তবে বৃষ, মকর এবং কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গে এদের দূরত্বই রাখা ভালো।

লাকি সংখ্যা:১ এবং ৪

লাকি রং: সোনালি, লাল এবং ক্রিম রং

লাকি জেমস্টোন: চুনি

লাকি দিন:রবিবার

কন্যা

কন্যা রাশি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, ব্যক্তিত্ব এবং ব্যবহার:

এই রাশিকে নিয়ন্ত্রণ করে বুধ গ্রহ। ফলে এরা অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রমী এবং ক্ষুরধার বুদ্ধির অধিকারী হয়। এরা অন্যের বিপদে-আপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রত্যেক পরিস্থিতিতে এরা সহজ সরল থাকতে পারে।

প্রতীক:এই রাশির প্রতীক হল একটা মেয়ে। যার হাতে রয়েছে এক গোছা ফুল। আসলে কন্যা রাশির প্রতীক মেয়েটিকে দিয়ে বোঝানো হয় যে, এই রাশির জাতক-জাতিকার মধ্যে মানবিকতার মতো দারুণ গুণ রয়েছে। তাই প্রচলিত রয়েছে, কেউ সাহায্য প্রার্থনা করলে সাহায্য করতে পিছপা হয় না এই রাশির জাতক-জাতিকারা।

শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য:কন্যা রাশির জাতক-জাতিকাদের হাত বেশ লম্বা হয়। তবে এদের বুড়ো আঙুল একটু খাটো হয়। সাধারণত এদের পিঠে, ঘাড়ে, কাঁধে এবং গালে তিল থাকে।

ব্যক্তিত্ব:এরা রহস্যময় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়। এই রাশির জাতক-জাতিকারা কোনও বিষয়কে নিজের সুবিধামতো তৈরি করে নিতে পারে। এরা নিজেদের কাজ নিজেদের মতো করে, ফলে আশপাশের অনেক মানুষজন এদের অলস বলে ভুল বুঝে থাকে।

শখ:কন্যা রাশির জাতক-জাতিকারা প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে খুবই ভালবাসেন, ফলে বাগান করা অথবা বাগানের পরিচর্যা এই রাশির জাতক-জাতিকাদের অত্যন্ত প্রিয় শখ। এ ছাড়াও বই পড়া, লেখালেখি করা, ক্যালিগ্রাফি, রান্নাবান্না এবং আরও অন্যান্য বিষয়ে এদের আগ্রহ থাকে।

দোষ:এরা একটু স্বার্থপর ধরনের হয়। এই রাশির জাতক-জাতিকারা অন্যকে নিয়ে ঠাট্টা করতে পছন্দ করে।

শিক্ষা ও ব্যবসা: শিক্ষাগত দিকে এদের মারাত্মক আগ্রহ থাকে। আর এই সব দিকেই এরা দারুণ ভাবে সাফল্য লাভ করে থাকে। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে এরা সে ভাবে উন্নতি করতে পারে না। কারণ পরিচালনা করার মতো দক্ষতা এদের নেই।

প্রেমজীবন:এই রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত নিজেদের সঙ্গীদের প্রতি অনুগত হয় এবং যে কোনও মূল্যে সঙ্গীর সুখ এদের কাছে প্রধান হয়ে দাঁড়ায়। তবে এরা নিজেদের তুলনায় অন্যের সুখ নিয়েই বেশি চিন্তা করে।

বিবাহিত এবং গার্হস্থ্য জীবন:বৃশ্চিক এবং মকর রাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গে কন্যা রাশির জাতক-জাতিকাদের প্রেম বা বিবাহ হলে দারুণ জমবে। আর তাদের বৈবাহিক জীবনও বেশ সুখ আর শান্তিতে ভরে থাকে। অন্য সবার থেকে পরিবার-পরিজনদের এরা বেশি গুরুত্ব দেয়। তবে বাড়িতে এরা সে রকম সম্মান পায় না।

বন্ধুভাগ্য:বৃশ্চিক, বৃষ, মকর রাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গেই কন্যা রাশির জাতক-জাতিকাদের ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ ছাড়া অন্য রাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গে কন্যা রাশির জাতক-জাতিকাদের বিশেষ বনে না।

লাকি সংখ্যা:

লাকি রং: সবুজ, কমলা, হলুদ এবং সাদা

লাকি দিন:বুধবার

লাকি জেমস্টোন:মুক্তো এবং পান্না

তুলা

তুলা রাশি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, ব্যক্তিত্ব এবং ব্যবহার:

তুলা রাশিকে নিয়ন্ত্রণ করে শুক্র গ্রহ। এরা একাকিত্বটা বিষয়টা একেবারে উপভোগ করে না। তাই এরা প্রিয় জনদের মাঝে থাকতে বেশ ভালোবাসে। কাছের মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে এরা পছন্দ করে। কখন মস্তিষ্ক এবং নিজেদের বুদ্ধি কাজে লাগাতে হবে, তা এই রাশির জাতক-জাতিকারা ভালই জানে।

প্রতীক:এই রাশির প্রতীক হল — দাঁড়িপাল্লা। আর তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা অন্যান্য রাশির জাতক-জাতিকাদের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা হয়। যে হেতু এই রাশির উপর প্রভাব বিস্তারকারী মূল গ্রহ শুক্র, তাই তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা সুন্দরের পূজারী হয় এবং প্রশংসা পায়।

শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য:তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের মোটামুটি লম্বা হয় এবং এদের মুখের গড়ন অনেকটা ডিমের মতো হয়। এদের চিবুক বেশ তীক্ষ্ণ হয় আর এদের গাল ভরাট হয়। এই রাশির অনেক জাতক-জাতিকার গালে টোলও দেখা যায়। আর তুলা রাশিতে জন্ম নেওয়া মানুষদের চোখ খুব সুন্দর হয়।

ব্যক্তিত্ব:এই রাশির জাতক-জাতিকারা খুবই সামাজিক হয় এবং এরা সুবক্তা। রাজনৈতিক কৌশল তৈরির ক্ষমতা রয়েছে এদের মধ্যে এবং এরা তর্ক-বিবাদ থেকে নিজেদের দূরে রাখতেই পছন্দ করে।

শখ:গাড়ির খুব শখ থাকে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের। তা ছাড়াও বাগান পরিচর্যাও এদের নেশা। এ ছাড়া, পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া, গান গাওয়া, নাচ করা এবং আরও নানা বিষয় এরা খুবই পছন্দ করে।

দোষ:তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা স্বভাবে সাধারণত আবেগপ্রবণ এবং সংবেদনশীল হয়। ফলে মাঝেমাঝেই প্রতারণার শিকার হয়। শুধু তা-ই নয়, এরা সমাজের উঁচু দরের ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মেলামেশা করে, ফলে কখনও কখনও হীনমন্যতারও শিকার হয়।

শিক্ষা ও ব্যবসা:সাহিত্য, মেডিসিন, নৃত্য এবং সঙ্গীত — এই সমস্ত বিষয়ে এরা দারুণ ভাবে সফল হয়। ব্যবসাতেও তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা দারুণ লাভ করে।

প্রেমজীবন:যারা দয়ালু, পরিণত এবং পরোপকারী হয়, তাদের পছন্দ করে তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা। সাধারণত একটু অন্য ধারার মানুষদের প্রেমে পড়ে এরা।

বিবাহিত এবং গার্হস্থ্য জীবন:তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গীরা অত্যন্ত সৌভাগ্যশালী হয়। আসলে এই রাশির জাতক-জাতিকারা এমন মানুষকে সঙ্গী হিসেবে চায়, যারা এদের ভাল ভাবে বুঝবে। খুবই কম ক্ষেত্রে এদের সন্তান হয় এবং এই সন্তানের জন্য এই রাশির জাতক-জাতিকারা সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে।

বন্ধুভাগ্য:তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গে মিথুন, কন্যা, মকর এবং কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের ভালো বন্ধুত্ব হয়। শুধু তা-ই নয়, তুলা রাশির এক জাতকের সঙ্গে অন্য জাতকেরও ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে।

লাকি সংখ্যা:

লাকি রং: হালকা নীল এবং সাদা

লাকি দিন:মঙ্গলবার

লাকি জেমস্টোন: হীরে

বৃশ্চিক

বৃশ্চিক রাশি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, ব্যক্তিত্ব এবং ব্যবহার:

বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর সব থেকে বেশি প্রভাব থাকে লাল গ্রহ বা মঙ্গল গ্রহের। ফলে বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা বেশ গম্ভীর, সাহসী এবং জেদী স্বভাবের হয়। আবার কখনও কখনও এরা অত্যন্ত ক্ষিপ্র এবং আবেগপ্রবণও হয়। তাই সাধারণত বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকাদের অন্যরা খুব একটা হালকা ভাবে নেওয়ার ভুল কখনওই করে না। আর বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা নিজেদের মতো করে জীবন কাটাতে পছন্দ করে এবং ভাগ্যের উপর এদের দারুণ নিয়ন্ত্রণ থাকে।

প্রতীক:বৃশ্চিক রাশির প্রতীক হল — বৃশ্চিক বা বিছে। যা খুবই বিপজ্জনক এবং বিষাক্ত প্রাণি। এই রাশির জাতকেরা সাধারণত শান্ত স্বভাবের এবং দয়ালু প্রকৃতির হয়।

শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য:এদের হাত বেশ লম্বা হয় এবং হাতের তালু একেবারেই চ্যাপ্টা প্রকৃতির হয়। সেই সঙ্গে হাতের আঙুল মোটা এবং বুড়ো আঙুল ছোট আকারের হয়।

ব্যক্তিত্ব:এরা অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়। তবে এরা সে ভাবে কোনও রকম প্রথা, ঐতিহ্য মানতে পছন্দ করে না। চ্যালেঞ্জ নিতে এই রাশির জাতক-জাতিকারা খুবই ভালোবাসে এবং এরা উচ্চাকাঙ্খীও হয়ে থাকে।

শখ:বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা প্রচণ্ড দামী দামী গাড়ি পছন্দ করে এবং নানা রকম অলঙ্কার ভালোবাসে। পাশাপাশি, এই রাশিতে জন্মানো মানুষগুলো প্রেমের উপন্যাস এবং অপরাধ সম্বন্ধীয় উপন্যাস পড়তে পছন্দ করে।

দোষ:সাধারণত এই রাশির জাতক-জাতিকাদের বাইরে থেকে দেখে শান্ত মনে হয়, কিন্তু সব সময় প্রতিশোধের ভাবনা এদের মনের মধ্যে পাক খেতে থাকে। ফলে সঠিক সময় এলে এরা এদের শত্রুকে রেহাই দেয় না।

শিক্ষা ও ব্যবসা:মেডিসিন, জ্যোতিষশাস্ত্র, বিজ্ঞান, ম্যানেজমেন্ট, বাণিজ্য এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মতো বিষয়ে বৃশ্চিক রাশির জাতকেরা দারুণ সাফল্য অর্জন করতে পারে। আবার ব্যবসার দিক থেকেও এরা বেশ সফল হয়। বিশেষ করে কেনা-বেচা, মেডিসিন এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সংক্রান্ত ব্যবসার ক্ষেত্রে এরা সফল ব্যবসায়ী হতে পারে।

প্রেমজীবন:এরা জীবনে ভালোবাসা এবং স্নেহ চায়। আর এই রাশির জাতক-জাতিকারা ভালবাসা অথবা স্নেহের প্রতিদান চায় সব সময়। সেই সঙ্গে এরা ভীষণই রোম্যান্টিক এবং আবেগপ্রবণও হয়।

বিবাহিত এবং গার্হস্থ্য জীবন:এই রাশির জাতক-জাতিকাদের নিজেদের সঙ্গীর থেকে একটা নির্দিষ্ট চাহিদা থাকে। তবে এদের সঙ্গীরা সেই চাহিদা পূরণ করতে না-পারলে এই রাশির জাতক-জাতিকারা সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসতে এক বারের জন্যও ভাবে না। ফলে পরিজনদের সঙ্গেও এদের সে রকম ভাল সম্পর্ক বজায় থাকে না।

বন্ধুভাগ্য: কর্কট, সিংহ, মেষ, ধনু এবং মীন রাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গে এদের বেশ ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। তবে মিথুন এবং কন্যা রাশির জাতক-জাতিকাদের থেকে এদের একটু দূরত্ব বজায় রেখেই চলা উচিত।

লাকি সংখ্যা:

লাকি রং: লাল এবং বেইজ রং

লাকি দিন:মঙ্গলবার

লাকি জেমস্টোন:প্রবাল

ধনু

ধনু রাশি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, ব্যক্তিত্ব এবং ব্যবহার:

ধনু রাশিকে নিয়ন্ত্রণ করে বৃহস্পতি গ্রহ। ফলে এই রাশির জাতক-জাতিকারা বেশ প্রভাবশালী, উজ্জ্বল হয় এবং এরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ আশাবাদী হয়। এরা বেশ ধর্মপ্রাণ এবং বুদ্ধিমান প্রকৃতির মানুষ, সেই সঙ্গে এরা বেশ বিশ্বস্তও হয়। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের ভাল করে লক্ষ করলে বোঝা যাবে, এদের ফ্যাশন সেন্স মারাত্মক।

প্রতীক:ধনু রাশির প্রতীক হল — মানুষরূপী ঘোড়া। যার সামনের দিকের অংশ মানুষের এবং পিছনের দিকের অংশ ঘোড়ার হয়। আর সেই মানুষের হাতে একটা তীর-ধনুক থাকে। এই রাশির জাতক-জাতিকারা বেশ আধ্যাত্মিক প্রকৃতির হয়ে থাকে।

শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য:ধনু রাশির জাতক-জাতিকাদের বলিষ্ঠ দেহ হয়। তাদের চুল খুব সুন্দর হয় আর চোখ দুটি বুদ্ধিদীপ্ত এবং উজ্জল হয়ে থাকে। আর এদের গলার স্বর অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে থাকে, ফলে অন্য মানুষজন এদের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হয়।

ব্যক্তিত্ব:এই রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অন্যদের বিশ্বাস করতে চায় না। আর সব বিষয়ের উপর কৌতূহল এদের জানার আগ্রহ বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে এরা কারওর ওপর নির্ভরশীল থাকতে পছন্দ করে না এবং স্বাধীন ভাবে বাঁচতে ভালোবাসে।

শখ:এরা বই পড়তে খুবই ভালবেসে থাকে। ফলে উপন্যাস পড়া, গল্প পড়া এদের প্রিয় অবসরযাপন। এরা স্বপ্ন দেখে যে, এরা হয়তো কোনও দিন পর্দায় মুখ দেখাতে পারবে। আর একটা বিষয়ে এদের দারুণ আগ্রহ দেখা যায়, সেটা হল — ভ্রমণ। আর ভ্রমণ বিষয়ক কার্যকলাপ এদের অত্যন্ত পছন্দের অবসরযাপন।

দোষ:এরা খুব তাড়াতাড়ি রেগে ওঠে। আর এই রাশির জাতক-জাতিকারা পারিবারিক বন্ধন খুব একটা পছন্দ করে না, সেই সঙ্গে এদের প্রচণ্ড খরচের হাত।

শিক্ষা ও ব্যবসা:চিকিৎসা বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান-সহ বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা এবং ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়লে এরা দারুণ সাফল্য অর্জন করতে পারবে। সাধারণত এই রাশির জাতক-জাতিকারা ভালো রাজনীতিবিদ, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার, এনজিও কর্মী, শিক্ষক-শিক্ষিকা হতে পারবে।

প্রেমজীবন:এই রাশির জাতক-জাতিকারা খুবই প্রাণোচ্ছল, মিষ্টি হয়, এবং আনন্দে জীবন কাটাতে পছন্দ করে এরা। তবে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের কাছে বিয়েটা একটা শখের মতো। তাই বিয়ে করলেও ভাগ্য নির্ণয়ের জন্য তা করে।

বিবাহিত এবং গার্হস্থ্য জীবন:ধনু রাশির জাতক-জাতিকাদের বৈবাহিক জীবন বেশ সুখেই কাটে। এরা সঙ্গীর ভালবাসা গ্রহণ করে এবং সঙ্গীকেও খুবই ভালবাসে। অনেক সময় দেখা যায়, ধনু রাশির জাতকদের শৈশব কষ্টে কাটে, কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব ঠিক হয়ে যায়।

বন্ধুভাগ্য: মেষ, সিংহ, বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গে এদের ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকে। তবে বৃষ, মিথুন এবং তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গে এদের খুব একটা ভালো সম্পর্ক থাকে না।

লাকি সংখ্যা:

লাকি রং: হলুদ, হালকা আকাশি রং, গোলাপি এবং পার্পল

লাকি দিন:বৃহস্পতিবার

লাকি জেমস্টোন:পোখরাজ

মকর

মকর রাশি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, ব্যক্তিত্ব এবং ব্যবহার:

মকর রাশিকে নিয়ন্ত্রণ করে শনি গ্রহ। এই গ্রহের প্রভাবের কারণে মকর রাশির জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে জীবন কাটাতে পছন্দ করে। এরা যদি কোনও কাজ হাতে নেয়, তা হলে সেই কাজটা শেষ করেই অন্য কাজে যায়।

প্রতীক:মকর রাশির প্রতীক হল শিংওয়ালা ছাগল। হিন্দু পৌরাণিক মতে, মকর অবশ্য সমুদ্রের প্রাণি বলে গণ্য হয়। এই রাশির প্রতীক ভাল ভাবে দেখলে বোঝা যাবে, এর সামনের অংশ স্হলজ প্রাণির মতো, অথচ এর পিছনের দিকের লেজের অংশ মাছ অথবা কুমীরের মতো হয়।

শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য:এই রাশির জাতকেরা সাধারণত রোগা-পাতলা হয়। সেই সঙ্গে এদের উচ্চতাও খুব একটা বেশি হয় না।

ব্যক্তিত্ব:মকর রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত বেশ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। স্বভাবের দিক থেকে এরা বেশ জেদী হয়। এ ছাড়াও উচ্চাকাঙ্খা, গাম্ভীর্য এবং পেশার প্রতি আনুগত্য — এদের স্বভাবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

শখ:মকর রাশির জাতক-জাতিকাদের স্মৃতিশক্তি মারাত্মক হয়। অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করার সময় এরা সাধারণত নিজেদের চোখ-কান খোলা রেখে চলতে পছন্দ করে। নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে এরা যথেষ্ট ওয়াকিবহাল এবং নিজেদের কাজ ঠিকঠাক ভাবে করতে পারে এরা।

দোষ:এই রাশির জাতক-জাতিকারা খুব সহজেই রেগে যায়। মাঝে মাঝে এদের মধ্যে অহঙ্কারবোধের আভাস পাওয়া যায়। আর যে কোনও কাজে এরা প্রচণ্ড তাড়াহুড়ো করে।

শিক্ষা ও ব্যবসা:শিক্ষা এবং পড়াশুনার বিষয়ে এরা বেশ সাফল্য অর্জন করে। আর সেই সঙ্গে মকর রাশির জাতক-জাতিকারা সফল ব্যবসায়ীও হতে পারে। বিমা, বিদ্যুৎ, কমিশন ডিপার্টমেন্ট, মেশিনারি প্রভৃতি ব্যবসার ক্ষেত্রে এরা দারুণ সাফল্য পাবে।

প্রেমজীবন:প্রেমের ক্ষেত্রে মকর রাশির জাতক-জাতিকারা বেশ সৌভাগ্যশালী হয়। এরা নিজেদের সঙ্গীর প্রতি বেশ অনুগত থাকে। তবে আবার মাঝে মাঝে দেখা যায়, এরা একাকিত্বেও ভোগে।

বিবাহিত এবং গার্হস্থ্য জীবন:মকর রাশির জাতক-জাতিকাদের গার্হস্থ্য জীবন সে রকম সুখের হয় না। বেশ বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয় এদের। তবে এদের বিবাহিত জীবন বেশ সুখের হয়।

বন্ধুভাগ্য:বৃষ, মিথুন, কন্যা, তুলা এবং কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গে এদের বেশ একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে। তবে কর্কট, সিংহ এবং বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত এদের শত্রু হয়

লাকি সংখ্যা:

লাকি রং: কালো

লাকি দিন:শনিবার

লাকি জেমস্টোন: নীলা

কুম্ভ

কুম্ভ রাশি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, ব্যক্তিত্ব এবং ব্যবহার:

কুম্ভ রাশিকে নিয়ন্ত্রণ করে শনি গ্রহ। আর শনির প্রভাবের কারণে এই রাশির জাতক-জাতিকারা বেশ স্বাধীনচেতা হয় এবং এরা স্বাধীন ভাবে জীবন কাটাতে ভালোবাসে। কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা প্রযুক্তিগত দিকে খুবই দক্ষ হয় এবং নানা রকম আবিষ্কার এদের হাত দিয়েই হয়ে থাকে।

প্রতীক:কুম্ভ রাশির প্রতীক হল — একটি ঘোড়া। এই রাশিতে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর সব সময় সমাজ ও মানুষের জন্য কিছু একটা করার তাগিদ থাকে। এর ফলে এরা অন্য মানুষের থেকে নিজেদের দূরত্ব তৈরি করে ফেলে।

শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য:এই রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত লম্বা হয়। এদের মুখ বড় হয় এবং ঘাড়, পিঠ, পেট, কোমর, পা বেশ লম্বা হয়।

ব্যক্তিত্ব:কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বেশ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। ফলে এরা কথাবার্তা বা আলাপচারিতা শুরু করতে একটু লজ্জাই পায়। তবে এদের মানসিক শক্তি এবং মনের ইচ্ছে খুবই মজবুত হয়।

শখ:কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা বেড়াতে যেতে বেশ ভালবাসে। এ ছাড়াও ফোটোগ্রাফি করা, গল্পের বই পড়া, বিভিন্ন আকার ও মাপের পাথর সংগ্রহ করা, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট সংগ্রহে রাখা এবং ছুটি কাটানো- এ সবই এদের অবসরযাপনের অঙ্গ।

দোষ:কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা শুধুমাত্র এক জনের উপর মনোনিবেশ করতে পারে না। আর খুব সহজেই বোর হয়ে যায়, ফলে এরা বারবার সঙ্গী বদলাতে থাকে।

শিক্ষা ও ব্যবসা:এরা বেশ বুদ্ধিমান হয়। ফলে গবেষণা এবং বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা দক্ষ হয়। এ ছাড়া, জ্যোতিষশাস্ত্র, দর্শন, মেডিসিন, কম্পিউটার প্রভৃতি বিষয়েও এরা দারুণ সাফল্য লাভ করতে পারে।

প্রেমজীবন:এই রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত কল্পনার জগতে বাস করে। আর সেটা নিয়েই উচ্ছ্বসিত থাকে। তবে এরা মন খুলে ভালবাসতে জানে এবং নিজেদের সঙ্গীর থেকেও সেটাই আশা করে।

বিবাহিত এবং গার্হস্থ্য জীবন:কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা আশা করেন যে, তাদের সঙ্গীরা জীবনের সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলুক। এরা সঠিক পথে চলে, ফলে জীবনসঙ্গী হিসেবে এরা দারুণ।

বন্ধুভাগ্য:বৃষ, মিথুন, কন্যা, তুলা, মকর রাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গে কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের বেশ ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। তবে মেষ, কর্কট, সিংহ এবং বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকাদের থেকে এদের দূরে থাকাই শ্রেয়।

লাকি সংখ্যা:

লাকি রং: কালো, পার্পল, গাঢ় নীল

লাকি দিন:শনিবার

লাকি জেমস্টোন: নীলা

মীন

মীন রাশি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, ব্যক্তিত্ব এবং ব্যবহার:

মীন রাশিকে মূলত নিয়ন্ত্রণ করে বৃহস্পতি গ্রহ। ফলে মীন রাশির জাতক-জাতিকারা বেশ আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝোঁকে। এরা নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসতে জানে। আর এই রাশির জাতক-জাতিকারা নিজেদের আদর্শগত দুনিয়ায় বাঁচতে বিশেষ পছন্দ করে।

প্রতীক:এই রাশির প্রতীক হল — মাছ। ফলে মীন রাশির জাতক-জাতিকারা মাছের মতোই শান্ত, ধীর-স্থির এবং দয়ালু স্বভাবের হয়। এরা অন্যের প্রতি বেশ সহানুভূতিশীলও থাকে। ফলে অন্যরা এই রাশির জাতক-জাতিকাদের খুবই পছন্দ করে।

শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য:মীন রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত রহস্যজনক প্রকৃতির হয়। এরা ধর্মপ্রাণ এবং বুদ্ধিজীবী হয়। ।

ব্যক্তিত্ব:মীন রাশির জাতক-জাতিকারা শিল্পীমনস্ক হয়। এরা কোনও নির্দিষ্ট পরিস্থিতি সহজেই বুঝতে পারে এবং সেই পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়েও নেয়।

শখ:মীন রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত একটু অলস প্রকৃতির হয়। এরা ভীতু এবং অন্যদের সহজে বিশ্বাস করে ফেলে। আর অন্ধবিশ্বাসের ফলে তার খেসারত এদের দিতে হয়।

দোষ:মীন রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত একটু অলস প্রকৃতির হয়। এরা ভীতু এবং অন্যদের সহজে বিশ্বাস করে ফেলে। আর অন্ধবিশ্বাসের ফলে তার খেসারত এদের দিতে হয়।

শিক্ষা ও ব্যবসা:শিল্পকলা, সঙ্গীত, সাহিত্য, লেখালিখি — এই ধরনের বিষয় বেছে নিলে এরা সাফল্য লাভ করতে পারবে। তবে ব্যবসায় সাধারণত এদের বিশেষ আগ্রহ থাকে না। আসলে কোনও কিছুর মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিষয় খুঁজে বার করতে পছন্দ করে মীন রাশির জাতক-জাতিকারা।

প্রেমজীবন:মীন রাশির জাতক-জাতিকাদের জীবনে প্রেম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এদের সব সময় মনে হতে থাকে যে, প্রেমহীন জীবনের কোনও মূল্যই নেই। এরা সাধারণত পরিণত এবং বুদ্ধিমান মানুষজনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পছন্দ করে।

বিবাহিত এবং গার্হস্থ্য জীবন:মীন রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য সব থেকে ভাল সঙ্গী হল কন্যা রাশির জাতক-জাতিকারা। এদের বিবাহিত জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরা থাকে।

বন্ধুভাগ্য:মেষ, কর্কট, সিংহ, ও ধনু রাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গে মীন রাশির জাতক-জাতিকাদের বেশ ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। তবে বৃষ, মিথুন, কন্যা এবং তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গে মীন রাশিতে জন্ম নেওয়া মানুষজনের মতাদর্শগত পার্থক্য থাকতে পারে।

লাকি সংখ্যা:৩ অথবা ৭

লাকি রং: হলুদ

লাকি দিন:বৃহস্পতিবার

লাকি জেমস্টোন:পোখরাজ

দারুণ কার্যকরী এই বাস্তু টিপস! মেনে চললেই গৃহ ভরে উঠবে সুখ-ঐশ্বর্যে

জল, বায়ু, আকাশ, আগুন এবং মাটি হল বাস্তু শাস্ত্রের পাঁচটি মৌলিক উপাদান। এই পাঁচটি মৌলিক উপাদানের মধ্যে ভারসাম্য আনাই হচ্ছে বাস্তু। ফলে গৃহে বারবার দুর্ঘটনা বা উন্নতিতে বাধা পড়া মানেই বাস্তুতে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। মজার বিষয় হল, ঘরে সামান্য কতকগুলি পরিবর্তন আনলেই খণ্ডন করা যায় বাস্তু দোষ। পাওয়া যায় অভাবনীয় সুফল। প্রশ্ন কেমন ধরনের পরিবর্তন? দেখা যাক। দেওয়ালের রং পরিবর্তন: ঘরের দেওয়ালের জন্য বাছুন প্রাণবন্ত, উদ্দীপক এবং আধুনিক রং। কারণ ঘরের রঙই যেমন আপনার চোখকে দেবে আরাম, তেমনই মনকেও করবে শান্ত। সম্ভব হলে নয়নাভিরাম ছবি টাঙিয়ে রাখুন দেওয়ালে। দেওয়ালে জোলাতে পারেন সুন্দর পেন্টিং। ঘরের দেওয়ালে সুন্দর প্রকৃতির ছবি টাঙিয়ে রাখা শুভ বলে মনে করা হয়। ছবির সৌন্দর্যই আপনার মনকে রাখবে দুশ্চিন্তামুক্ত এবং শান্ত। মনে রাখবেন সহজ সরল ছবিই ঘরে টাঙানোর জন্য উপযুক্ত। জটিল ধরনের যে কোনও শিল্পকর্ম এড়িয়ে চলাই ভালো কারণ তা মনের জটিলতা বাড়ায়।

বাড়িতে ঝোলান ঝাড়বাতি: ব্যালকনি বা লিভিং রুমে স্যান্ডেলিয়া কেলাস বা ঝাড়বাতি ঝোলানো অত্যন্ত শুভ। এভাবে গৃহের পজিটিভ এনার্জি বাড়ানো যায়। এছাড়া ঝাড়বাতির দোলনে তৈরি হওয়া মৃদু মিষ্টি শব্দ শ্রবণে মন শান্ত হয়। মাথা থেকে দূরে সরে দুশ্চিন্তা। বন্ধ ঘড়ি থেকে সাবধান: ঘরে ঘড়ি বন্ধ থাকতে দেবেন না। যে কোনও বন্ধ ঘড়িই গৃহের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ডেকে আনে। সুতরাং ব্যাটারি শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে তা বদলান। ইলেকট্রনিকস-এর ঘড়ি খারাপ হলে সারান। না সারাতে পারলে বদলে ফেলুন। গৃহ পরিষ্কার রাখুন: একটি পুরনো প্রবাদ রয়েছে, ‘পরিচ্ছন্ন থাকাই ঈশ্বরের নিকট থাকা।’ সুতরাং আপনার উচিত সবসময় ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা যাতে ঘরে কোনও অতিথি এলে সে আনন্দ পায়। মাকড়শার জাল সরান: গৃহে মাকড়শার জাল থাকলে তা আর্থিক উন্নতিতে এবং. শারীরিক ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা ডেকে আনে। বারবার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় গৃহস্বামীকে। অসুখেও ভুগতে হয় তাঁকে। তাই ঘরের কোনও অংশে মাকড়শার জাল দেখলে ঝেড়ে ফেলুন। বাথরুমের দরজা বন্ধ রাখুন: টয়লেট ব্যবহার না করলে ঢাকনা বন্ধ রাখুন। টয়লেট থেকে নেতিবাচক শক্তি প্রবাহিত হয়। বন্ধ রাখুন ওয়াশরুমের দরজাও। কারণ ওয়াশরুমের দরজা খোলা রাখলে তা নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে গৃহে।

আসবাবপত্র: বাড়ির মাঝখানে কোনও আসবাব রাখবেন না। বাড়ির কেন্দ্রস্থলকে বলা হয় ‘ব্রহ্মস্থান’। তাই কেন্দ্রস্থল সবসময় ফাঁকা রাখা উচিত। নাহলে পজিটিভ এনার্জি বা ইতিবাচক শক্তি সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না। ঘরে রাখুন সিংহাসন বা মন্দির: আজকাল ঘরবাড়ি এতটাই ছোট আকারের হয় যে সেখানে মন্দির বা সিংহাসন রাখার জায়গা থাকে না। সমস্যা হল এই কারণে বিশ্বাস ও ভরসার বাতাবরণ তৈরি হওয়ার সুযোগ হয় না। ঐশ্বরিক কৃপা থেকেও বঞ্চিত হতে হয় বাড়ির বাসিন্দাদের। অথচ এই ব্রহ্মাণ্ডই তৈরি হয়েছে ঈশ্বরের কৃপায়। সমস্যা হল বর্তমান সময়ে আমরা আমাদের গৃহে তাঁর জন্য সামান্য জায়গাও বরাদ্দ করতে পারি না! তবে সরাসরি সিংহাসন বা মন্দির স্থাপন না করা গেলেও অন্তত পক্ষে ঈশ্বরকে চিত্রিত করে এমন কোনও চিহ্ন ঘরে রেখে দিন। ফলে তাঁর নজর থাকবে আপনার গৃহে। যে কোনও অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে বাড়ি। বেডরুমে ইলেকট্রনিকস-এর সামগ্রী নয়: যে কোনও ধরনের ইলেকট্রনিকস-এর সামগ্রী বেডরুমে রাখা বিধিসম্মত নয়। কারণ যে কোনও ইলেকট্রনিকস-এর বস্তু দম্পতির মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরিতে বাধা দান করে। তবে একান্তভাবেই তা করা সম্ভব না হলে কয়েকটুকরো ফ্লুরাইট পাথর এনে বেডরুমে রাখুন। তার ফলে ইলেকট্রনিকস-এর বস্তু থেকে বিকিরিত নেতিবাচক প্রভাব কমবে।

রান্নাঘরে এই জিনিসটি যেন আপনার হাত থেকে কোনওদিন পড়ে না যায়; তাহলেই ঘটবে বিপদ

বাস্তু সমস্যা থাকলে জীবনে অনেক রকম কঠিন পরিস্থির সম্মুখীন হতে হয়। শরীর থেকে কেরিয়ার সব কিছুর সঙ্গেই কিন্তু জড়িয়ে বাস্তু। বাস্তুর সমস্যা হলে হাজারো চেষ্টাতেও কিন্তু সাফল্য আসবে না। যে কারণে জমি-বাড়ি কেনার সময় বার বার বাস্তু মিলিয়ে দেখার কথা বলা হয়। এই বাস্তুর পিছনেও কিন্তু থাকে বিজ্ঞান। কোনও ভাবে মনের উপর যদি নেগেটিভ কোনও প্রভাব পড়ে তাহলে কিন্তু তার ফল হয় সুদূরপ্রসারী। এছাড়াও নেতিবাচক কোনও কিছুই বেশিদিন মনের মধ্যে থাকা ঠিক নয়। বাস্তু অনুসারে ঘর সাজানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। বাড়ির রান্নাঘর হল এমন জায়গা যেখানে বাস্তু ত্রুটি থাকলে সমস্যাগুলি আমাদের পিছু ছাড়ে না দীর্ঘকাল। বাস্তুশাস্ত্রে রান্নাঘর সম্পর্কে কিছু নিয়ম বলা হয়েছে। যেমন রান্নাঘরে এমন অনেক জিনিস আছে যা ঠিকমতো না রাখলে সমস্যা হতে পারে। এর মধ্যে একটি হল লবণ এবং এটি বাস্তু অনুসারে রাখা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। তবে আপনি কি জানেন এই নুন আপনার জীবনের অনেক সমস্যা দূর করতে পারে।

বাস্তু অনুযায়ী এই নুন যেমন সঠিক জায়গায় রাখা জরুরি, তেমনই এটি যদি ভুল করেও মেঝেতে পড়ে তাহলে জীবনে নেমে আসতে পারে অন্ধকার। রান্নার সময় খাবারে লবণ যোগ করা হলেও, অনেক সময় মানুষ খাওয়ার সময় পুনরায় লবণ যোগ করে খায়। এ কারণে বা অন্য কোনও কারণে লবণ মাটিতে পড়ে যায়। বাস্তু ও জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে লবণ পড়া শুভ নয়। বলা হয় যে লবণ শুক্র এবং চাঁদের সনফে সম্পর্কিত। নিয়ম অনুযায়ী লবণ পড়ে গেলে উভয় গ্রহের সঙ্গে যুক্ত অশুভ ফল আমাদের জীবনে সংকট তৈরি করতে পারে। এছাড়াও কখনও এঁটো হাত দিয়ে লবণ স্পর্শ করবেন না। এতে করে অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। ভুল করে মাটিতে লবণ পড়লে ভুল করেও পা দিয়ে পরিষ্কার করবেন না। এটা খুবই অশুভ বলে মনে করা হয়। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে, নুন কখনই ঋণে কেনা উচিত নয় এবং আপনি যদি দোকানদার হন তবে লবণ ধার দেবেন না। এটা করাও অশুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে সপ্তাহে একবার বাড়ির কোণে লবণ ছিটিয়ে দেওয়া উচিত। এর ফলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং ঘরে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের আশেপাশে উপস্থিত নেগেটিভ এনার্জির মাত্রাকে কমাতে নুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। বিশেষত নুন জল দিয়ে ঘর মুছলে খারাপ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

কোন সময়ে কি করবেন
সমগ্র জীবনের কোষ্ঠী "স্বর্ণ চক্র" সংগ্রহ করুন আজকেই

জ্যোতিষশাস্ত্র হল একটি ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বিজ্ঞান যার নিজস্ব পদ্ধতি, দাবি এবং ফলাফল রয়েছে যা চিরকাল অনুপ্রাণিত করে এবং মানুষকে তাদের জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি দেয়। এই দিকগুলির মধ্যে রয়েছে আপনার প্রেম-জীবন, পেশা, ব্যবসা, আর্থিক সমৃদ্ধি এবং আরও অনেক কিছু। এই সমস্ত দিকগুলি আমাদের জীবনকে কোনও না কোনওভাবে প্রভাবিত করে এবং আমরা সাধারণত তাদের ইতিবাচক পথে যেতে চাই। কিন্তু অবশ্যই, এটা সবসময় সম্ভব নয়। এমন এক সময় যখন জ্যোতিষশাস্ত্র  আপনার ত্রাণকর্তা হতে পারে।