বিশ্বের প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ এই ভিডিও গুলি বার বার দেখে থাকেন – আপনিও আজকেই দেখুন – তান্ত্রিক টোটকা (ইউ টিউব)
Travel
জ্যোতিষশাস্ত্র হল একটি ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বিজ্ঞান যার নিজস্ব পদ্ধতি, দাবি এবং ফলাফল রয়েছে যা চিরকাল অনুপ্রাণিত করে এবং মানুষকে তাদের জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি দেয়। এই দিকগুলির মধ্যে রয়েছে আপনার প্রেম-জীবন, পেশা, ব্যবসা, আর্থিক সমৃদ্ধি এবং আরও অনেক কিছু। এই সমস্ত দিকগুলি আমাদের জীবনকে কোনও না কোনওভাবে প্রভাবিত করে এবং আমরা সাধারণত তাদের ইতিবাচক পথে যেতে চাই। কিন্তু অবশ্যই, এটা সবসময় সম্ভব নয়। এমন এক সময় যখন জ্যোতিষশাস্ত্র আপনার ত্রাণকর্তা হতে পারে।
হিন্দু শাস্ত্রে রুদ্রাক্ষের গুরুত্ব রয়েছে বিস্তর। রুদ্রাক্ষ গাছের ৬৫ শতাংশ রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। নেপালে রয়েছে ২৫ শতাংশ। বাকি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। পৌরানিক কাহিনি অনুসারে শিবের অশ্রু থেকে তৈরি হয়েছিল রুদ্রাক্ষ গাছ। ভগবান শিব কঠিন তপস্যার পর চোখ খুলতে তাঁর চোখ থেকে অশ্রু নির্গত হয়। যা মাটিতে পড়তে সেই অশ্রু থেকে তৈরি হয় রুদ্রাক্ষ গাছ। শাস্ত্রে রুদ্রাক্ষের যে বিস্তর গুরুত্ব তার প্রমাণ মিলেছে সর্বত্র। যে কোনও শুভ কাজে ব্যবহৃত হয় এই রুদ্রাক্ষ মালা কিংবা রুদ্রাক্ষ ধারণ করাও শুভ বলে মনে করা হয়। শুধু জ্যোতিষে নয়, বৈজ্ঞানিক মতে রুদ্রাক্ষের উপকারীতা বিস্তর। জেনে নিন রুদ্রাক্ষের উপকারীতা।
১. জানা গিয়েছে, রুদ্রাক্ষে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। রুদ্রাক্ষের বীজ ভিজিয়ে জল খেতে পারেন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে। শরীরের সকল কঠিন ব্যধি দূর হবে রুদ্রাক্ষ ভেজানো জল খেলে। রোজ সকালে উঠে রুদ্রাক্ষ ভেজানো জল পান করুন। নিয়মিত ব্যবহারে নিজেই ফারাক বুঝবেন।
২. জানা গিয়েছে রুদ্রাক্ষ মনের ওপর প্রভাব ফেলে। রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে মানসিক চাপ মুক্ত থাকবেন। দূর হবে টেনশন, রক্তচাপ দূর হবে। ব্যক্তিত্ব গঠনে সাহায্য করে। রুদ্রাক্ষে রয়েছে ডাই ইলেকট্রিক পদার্থ। যা মানসিক স্থিরতা এনে দেয়। এর গুণে মানুষের বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। সঙ্গে ব্যক্তি গঠনে সাহায্য করে এই পদার্থ। বুদ্ধি, আত্মবিশ্বাস বিকাশ ঘটাতে চাইলে ধারণ করতে পারেন রুদ্রাক্ষ।
৩. বৈজ্ঞানিক মতে, রুদ্রাক্ষ পুঁতি একটি চুম্বকের মতো কাজ করে। ডাক্তারি মতে, এর ডায়নামিক পোলারিটি শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। এর ফলে, বন্ধ কিংবা অবরুদ্ধ ধমনী ও শিরাগুলো পরিষ্কার হয়। আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে। শরীরে বিভিন্ন ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে।
মা লক্ষ্মীর (Goddess Lakshmi) আরাধনার জন্য এবং তাঁর কৃপা পেতে আজকের দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে, শুক্রবারে আমরা মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে সম্পদ, সম্পত্তি, খ্যাতি সব কিছু পেতে পারি। দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করার জন্য অনেক ধরনের অনুষ্ঠান করা হয়, তার মধ্যে কিছু কঠিন, যা হয় তো সবার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু আজ যে বিশেষ মন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে তা লক্ষ্মীকে খুশি করার সহজ উপায়।
আমাদের আজ পদ্ম ফুল বা লাল ফুল দিয়ে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করা উচিত। সেই সঙ্গে প্রসাদ হিসেবে সাদা বরফি বা বাতাসা প্রদান করতে হবে। এর পর মা লক্ষ্মীর ধ্যান করে শ্রী সূক্ত (Sri Suktam) মন্ত্র পাঠ করার পালা। এটি করলে মা লক্ষ্মী আমাদের উপর প্রসন্ন হবেন এবং আমাদের ইচ্ছা পূরণ করবেন। তাঁর কৃপায় আমরা সাফল্য, খ্যাতি, সম্পদ সব কিছু পাব।শ্রী সূক্ত মন্ত্র পাঠ করার সময় সঠিক উচ্চারণে যত্নবান হওয়া উচিত (Shri Suktam Path)।
ওম হিরণ্যবর্ণম হরিণী, সূবর্ণ-রজত-স্ত্রাজম,
চন্দ্রা হিরণ্যময়ী লক্ষ্মী, জাতভেদোয় ম আবাহ।
তা ম আবাহ জাতা বেদোতে, লক্ষ্মীমানপ-গামিনীম,
যস্য হিরণ্যম্ বিন্দয়ম্, গামস্বম্ পুরুষানহম্।
অশ্বপুর্বণ রথ-মধ্যযান, হস্তি-নাদ-প্রমোদিনীম,
শ্রীম দেবীমুপাহওয়ে, শ্রীমা দেবী জুষ্টম।
কংসোসামি তম হিরণ্য-প্রকারমর্দ্র জ্বলন্তী ত্রিপ্তান তর্পয়ন্তি,
পদ্মে অবস্থানম পদ্ম-বর্ণম তামিহোপাহওয়ায়ে শ্রিয়ম্।
চন্দ্র প্রভাসন যশসা জ্বালান্তি শ্রী লোকে দেব-জুষ্টমুদারম,
তম পদ্ম-নেমে শরমহম প্রপদে অলক্ষ্মীরমে নাশ্যতম ত্বা বর্ণোমি।
আদিত্য বর্ণে তপসধিজাততো বনস্পতিবা বৃক্ষ বিল্বহ,
তস্য ফলানি তপসা নুদন্তু মায়ন্ত্রয়শ্চ বাহ্য অলক্ষ্মী।
উপইতু মা দৈব সখাঃ, কীর্তিশ্চ মনিনা সাহা,
প্রদুভূতোऽমি রাষ্ট্রস্মীন, কীর্তিম বৃদ্ধম্ দদাতু মে।
ক্ষুত-পিপাসালামলা জ্যেষ্ঠ, অলক্ষ্মীরনাশ্যম,
অভূতিম সমৃদ্ধি চ, সর্বান নির্নুদে মে গ্রহাত।
গন্ধ-দ্বারম দূরাদর্শম, নিত্য-পুষ্টম করিষিণীম,
ঈশ্বরী সর্ব-ভূতানম্, তমিহোপাহ্বয়ে শ্রিয়ম্।
মনসাঃ কম্মকুটিন, বাচঃ সত্যমশিমহি,
পশুনাম রূপমন্নস্য, ময়ী শ্রীঃ শ্রয়তম যসঃ।
কর্দমেন প্রজা-ভূত, ময়ী সম্ভ্রম-কর্দম,
শ্রিয়ম বাসে মে কুলে, মাতরম পদ্ম-মালিনীম।
আপ: সৃজনশীলতা স্নিগ্ধানি, চিকলিত ভাস মে গৃহ
নিচ দেবী মাতরম শ্রীম বসে মে কুলে।
অর্দ্রান পুষ্করিণ পুষ্টম, সুবর্ণম হেমা-মালিনিম,
সূর্য্য হিরণ্ময়ী লক্ষ্মী, জাতভেদো মামাভঃ।
অর্দ্রান ইয়াহ করিনেম যষ্টিম, পিঙ্গলা পদ্ম-মালিনিম,
চন্দ্র হিরণ্ময়ী লক্ষ্মী, জাতভেদো মামাবহঃ।
তম আভা জাত-বেদো লক্ষ্মীমানপ-গামিনীম,
যস্য হিরণ্যম্ প্রভুতম্ গাভো দাসয়োষ্বন্ বিন্দয়ম্ পুরুষানহম্।
ইয়া শুচিঃ প্রয়তো ভূত্বা, জুহুয়াদজ্যমবাহম্,
শ্রিয়ঃ পঞ্চ-দাসর্চম চ, শ্রী-কামঃ সত্তম জপেৎ।
আপনি আপনার জন্য বিশেষ মন্ত্র নিয়ে উপকৃত হতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
নম্বর – ৯৮৩০১ ৪৩০৪৮
গণেশের মন্ত্র– “ওম সৌভাগ্য-বর্ধনাহাহ নমহঃ।” এই মন্ত্রটি দিনে কম করে ১০৮ বার পাঠ করলে ফল পেতে বাধ্য। ফিরবে ভাগ্য। বদলে যাবে জীবন। যারা এই সময় খুব দুঃখের মধ্যে আছেন, তারা আজ থেকেই এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করে দিন।
দূর্গা মন্ত্র– “দেহি সৌভাগ্য়িয়াম আরোগ্যিয়াম দেহি মে পরামম সুখাম কুপম দেহি জায়াম দেহি, যশো দেহি দ্বিখোজাহী।” এই মন্ত্রটি পাঠ করলে ভাগ্য তো ফিরবেই, সেই সঙ্গে জীবন খুশিতে ভরে উঠবে। কালো শক্তি সঙ্গ ছাড়বে, আটকে যাওয়া কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন এবং খারাপ চিন্তা মন থেকে দূর হবে। মন্ত্রটি প্রতি দিন কম করে ১০৮ বার জপ করতে হবে, তবেই মিলবে সুফল।
রিদ্ধি সিদ্ধি মন্ত্র– “সাধক নাম জাপেহী লে লায়েই, হোহি সিদ্ধ আনিমাদিক পেয়ে।” কর্মক্ষেত্রে এবং ব্যবসায় ভাগ্য ফিরিয়ে আনতে এই মন্ত্রটি দারুনভাবে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে জীবনে খুশির রাস্তা যাতে প্রশস্ত হয় সেদিকেও খেয়াল রাখে। শুধু তাই নয় অর্থনৈতিক পরিস্থিত ভাল করতেও এই মন্ত্রটি সাহায্য করে। দিনে কম করে ৫ বার মন দিয়ে মন্ত্রটি পাঠ করলেই ভাগ্য ফিরতে শুরু করবে।
লক্ষ্মী মন্ত্র– “ওম শ্রিম অখন্ড সৌভাগ্য ধন সমৃদ্ধিয়াম দেহি দেহি নামাহ।” অর্থ, যশ, উন্নতি এবং সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করে মা লক্ষ্মীর এই মন্ত্রটি। শুধু তাই নয়, সব ধরনের বাঁধা পেরিয়ে জীবনে যাতে শান্তি, স্থিরতা আসে সে দিকেও খেয়াল রাখে। বুধবার থেকে মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। মন্ত্র পাঠের আগে মা লক্ষ্মীর ছবিতে ফুল দিন। ধুপ -ধূনো জ্বালান। দিনে পাঁচ বার, টানা ১১ দিন এই লক্ষ্মী মন্ত্রটি পাঠ করলেই ফল মিলবে।
কার্যক্ষেত্রে সাফল্য মিলছে না? শেষ কবে মাইনে বেড়েছিল ভুলে গিয়েছেন? অভাব, অশান্তি থেকে মানসিক অবসাদ? স্ট্রেস? এবার টেনশন শিকেয় তুলুন! সমস্যার সমাধান আপনার হাতের মুঠোয়। নিয়মিত পাঠ করুন এই মন্ত্রগুলো! ফল মিলবে হাতেনাতে–
লোকাষ্মিতা সুখিনু ভভান্তু: প্রতিদিন প্রাণায়ম করার সময় এই মন্ত্রটি জপ করুন। চারপাশে শুভ শক্তির বিকাশ ঘটবে, বিপদের আশঙ্কা কমবে! পাশাপাশি আপনার রাগের মাত্রা কমতে শুরু করবে, পরিবারে সবসময় সুখ-শান্তির পরিবেশ বজায় থাকবে।
ওম মন্ত্র: প্রতিদিন নিয়ম করে ১৫-২০ মিনিট যদি “ওম” উচ্চারণ করা যায়, তাহলে স্ট্রেস লেভেল তো কমেই, সেই সঙ্গে দুশ্চিন্তাও দূর হয়! শরীর মন থাকে চনমনে, রোগ ধারে কাছে ঘেঁষে না। আসলে ‘ওম’ মন্ত্রটি জপ করার সময় যে শব্দ তরঙ্গের সৃষ্টি হয়, তার প্রভাবে মস্তিষ্কের ভিতর এমন কিছু পরিবর্তন হয় যাতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মেলে আরও অনেক উপকার! যেমন– রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বেড়ে যায়, মনোযোগ বাড়ে, হার্ট ভাল থাকে, চারপাশে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় জীবন সুখ-শান্তিতে ভরে ওঠে।
সার্বেশাম সাবাস্থির ভবতু, সার্বেশাম শান্তির ভবতু, সার্বশাম পুর্নাম ভবতু, সার্বেশম মাঙ্গালাম ভবতু: শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রটি সারা দিন ধরে নিয়মিত পাঠ করলে মনোবল বৃদ্ধি পায়, টেনশন, স্ট্রেস, কুচিন্তা কমে।
ওম নমহ শিবায়: শাস্ত্র মতে সারা দিন ধরে এই মন্ত্রটি পাঠ করলে মন শান্ত হয়, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়, স্ট্রেস কমে। যে-কোনও প্রিবন্ধকতা সহজেই পেরনো যায়। শুধু তাই নয়, ভগবান শিবের আশীর্বাদে কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসে।
ওম গাম গনপাতায়ে নমহ: এই মন্ত্রটি হিন্দু শাস্ত্রের অন্যতম শক্তিশালী মন্ত্র! এই মন্ত্র পাঠ করার মধ্যে দিয়ে ভগবান গণেশের আরধনা করলে জীবনে সুখ-শান্তি আসে, কর্মক্ষেত্রে সফলতা পাওয়া যায়, অর্থনৈতি অবস্থারও উন্নতি হয়, মনে ইচ্ছে সহজেই পূরণ করতে পারবেন।
গায়েত্রী মন্ত্র: মনকে নানাবিধ কু-চিন্তার খপ্পর থেকে বাঁচাতে নিয়মিত গায়েত্রী মন্ত্র পাঠ করুন। উপকার মিলবেই। চারপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে, দুঃখ-দুর্দশা কমে, জীবনের নিত্যসঙ্গী হয়ে ওঠে সফলতা। এমনটাও বিশ্বাস করা হয়, এক মনে এই মন্ত্রটি পাঠ করলে মনের সব ইচ্ছা পূরণ হয়, অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়! দেখবেন, কর্মক্ষেত্রেও দ্রুত পদোন্নতি হবে!
জ্যোতিষশাস্ত্র হল একটি ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বিজ্ঞান যার নিজস্ব পদ্ধতি, দাবি এবং ফলাফল রয়েছে যা চিরকাল অনুপ্রাণিত করে এবং মানুষকে তাদের জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি দেয়। এই দিকগুলির মধ্যে রয়েছে আপনার প্রেম-জীবন, পেশা, ব্যবসা, আর্থিক সমৃদ্ধি এবং আরও অনেক কিছু। এই সমস্ত দিকগুলি আমাদের জীবনকে কোনও না কোনওভাবে প্রভাবিত করে এবং আমরা সাধারণত তাদের ইতিবাচক পথে যেতে চাই। কিন্তু অবশ্যই, এটা সবসময় সম্ভব নয়। এমন এক সময় যখন জ্যোতিষশাস্ত্র আপনার ত্রাণকর্তা হতে পারে।
বৈশিষ্ট্য: আপনি আশাবাদী ও সাহসী মনোবৃত্তিসম্পন্ন মানুষ। আপনি প্রাণবন্ত ও উদ্যমশীল। কিছুটা স্বেচ্ছাচারী। কারও কারও ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যে হঠকারীতা করতে দেখা যায়। আপনি স্বাধীনচেতা ও দায়িত্ব নিতে ভালোবাসেন। একটু অনুপ্রেরণা পেলে যে কোনো কাজ ভালোভাবে করে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন। সহজাতভাবেই আপনি মহৎ ও দয়ালু। বন্ধুদের প্রতি বিশ্বস্ত। যদিও কিছু মানুষ আপনাকে ভুল বুঝে।
আপনি আদর্শবাদী। ভবিষ্যতের আগামজ্ঞান আপনি সহজেই বুঝতে পারেন। বহুবিষয়ে আপনার দিকনির্দেশনা অন্যরা অনুসরণ করে। আপনার মধ্যে রয়েছে তেজ ও বীরত্ব।
মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের শরীরের দুর্বলতম স্থান হচ্ছে মাথা, মুখ, মস্তিষ্ক ও চোখ। কারও কারও ক্ষেত্রে মাথায় আঘাত কিংবা মুখে আঘাতের দাগ থাকতে পারে।
বৈশিষ্ট্য: আপনি ধীরস্থির ও সহনশীল। উদার মন মানসিকতার অধিকারী। সহজেই অন্যকে আপন করে নিতে পারেন। কারও কারও ক্ষেত্রে একরোখা বা একগুঁয়ে হতে দেখা যায়। আপনি সবার সাথে ভালো ব্যবহার করতে ভালোবাসেন। অন্যের প্রতি আপনি যত্নশীল ও সমমর্মী। ঘরেবাইরে সব কিছু গুছিয়ে করতে পছন্দ করেন। আপনার এসব গুণের কারণে অনেক মানুষের ভালোবাসা পাবেন।
আপনি জানেন কীভাবে জীবনকে উপভোগ্য করে তুলতে হয়। ব্যক্তিগতভাবে আপনি আত্মনির্ভরশীলতা পছন্দ করেন। শিল্প, সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রতি আগ্রহ থাকতে পারে। লেখালেখিতেও আপনি বেশ ভালো করতে পারেন। বৃষ রাশির জাতক জাতিকারা সাধারণত রান্নায় পারদর্শী হন। সাজসজ্জা ও সৌন্দর্যপ্রীতি এদের সহজাত বৈশিষ্ট্য।
বৃষ রাশির জাতক জাতিকাদের থাইরয়েড গ্ল্যান্ড, গলা, ঘাঁড় ও কণ্ঠস্বর সংক্রান্ত সমস্যা ভুগতে দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য: আপনি বেশ রসিকতাজ্ঞান সম্পন্ন। বালক স্বভাবের হওয়ার কারণে একজায়গায় বেশি সময় বসে থাকা আপনার জন্য কঠিন। চঞ্চলতা ও কথামালায় চারপাশ মুখরিত করে রাখতে পারেন। ব্যবসায়িক দিক দিয়েও আপনি সাফল্য অর্জন করবেন। অশুভ বুধের প্রভাবে কারও কারও মিথ্যে বলার অভ্যাস থাকতে পারে।
সহজাতভাবে আপনি একজন দক্ষ সংগঠক। একসঙ্গে একাধিক কাজ করার দক্ষতা ও যোগ্যতা দুটোই আপনার মধ্যে রয়েছে। আপনি গল্প করতে খুব পছন্দ করেন। নতুন কোনো পরিবেশে গেলেও অনায়াসে আড্ডা জমিয়ে তুলতে পারেন। আপনার হৃদয় স্নেহ মমতা ও ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। ক্রীড়া, সঙ্গীত ও লেখালেখিতে ভালো করতে পারবেন। জ্ঞানার্জনের প্রতি সহজাত আকর্ষণ রয়েছে। বই পড়তে খুবই পছন্দ করেন। সবসময়ই নিজেকে কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত রাখতে পছন্দ করেন। ব্যস্ততার মাঝেও এরা সময়কে সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে পারেন। জীবনে অনেক ভ্রমণ করার সুযোগ পাবেন।মিথুন রাশির জাতক/জাতিকাদের প্রেস, পরিবহন, কুরিয়ার, ইনসিওরেন্স, সংবাদপত্র, আইন কিংবা শিক্ষকতা পেশায় সফল হতে দেখা যায়।
মিথুন রাশির জাতক জাতিকাদের কাঁধ ও হাত, স্নায়ুতন্ত্র ও শ্বাসকষ্ট এবং মস্তিষ্কের পীড়ায় আক্রান্ত হতে দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য: আপনি সাধারণত কোনো ধরনের ঝঞ্ঝাট চান না। পরিবারের প্রতি টান রয়েছে। চাপা স্বভাবের হওয়ার কারণে নিজেকে সামনের দিকে উপস্থাপন করতে চান না। পুরানো রীতিনিতির প্রতি আপনার আকর্ষণ রয়েছে।
আপনি যথেষ্ট কল্পনা প্রবণ ও কর্মঠ। আপনি সব ব্যাপারেই বুঝে শুনে চলেন। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে কাজে লেগে থাকার অসাধারণ গুণ আপনার রয়েছে। আপনার রয়েছে প্রখর স্মৃতিশক্তি।
আপনি পরনির্ভরতা পছ্ন্দ করেন না, আত্মনির্ভরশীল হওয়ার অদম্য ইচ্ছা রয়েছে আপনার। সঙ্গীত ও কলার প্রতি আগ্রহ থাকতে পারে। কর্কট রাশির জাতক জাতিকাদের ইনটুইশন ক্ষমতা প্রবল। অন্যের আবেগ ও অনুভূতি দ্বারা সহজেই প্রভাবিত হন। এরা যথেষ্ট অতিথি পরায়ণ ও আন্তরিক। সেবামূলক কাজে এদের সহজাত আকর্ষণ রয়েছে। অনেক সময় এরা অন্যকে অনুসরণ করার চেয়ে বেশি অনুকরণ করেন। পরবর্তীতে জীবনের হিসেব মিলাতে গিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বাস্তবজীবনে এরা কোমল হৃদয়ের অধিকারী।
কর্কট রাশির জাতক জাতিকাদের বুক, স্তন, পেট ও খাদ্যনালীর সমস্যা থাকতে দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য: আপনি মহৎ উদার ও স্নেহশীল। আপনার রয়েছে দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি। আপনি অন্যের নিকট বিশ্বস্ত ও অধ্যবসায়ী। সবকিছু নিখুঁতভাবে করতে চান। আপনার জেদ ও একরোখা মনোভাবের কারণে অন্যের রোষাণলের শিকার হতে পারেন। আপনি ন্যায় বিচার করতে পছন্দ করেন।
আপনার মধ্যে সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণ রয়েছে। ব্যক্তিজীবনে আপনি কর্মঠ ও আত্মনির্ভরশীল। আপনি নেতৃত্ব দিতে চান। শিল্প, কলা, ক্রীড়া ও সংগীতের প্রতি আকর্ষণ থাকতে পারে। সহজাতভাবে আপনি অতিথি পরায়ণ। কাটছাট কথাবলার কারণে কেউ কেউ আপনাকে ভুল বুঝতে পারে। তবে হৃদয় আপনার ভালোবাসায় পরিপূর্ণ।
সিংহ রাশির জাতকজাতিকাদের বুক, হৃদপিণ্ড ও মেরুদণ্ড সংক্রান্ত সমস্যা থাকতে দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য: আপনি সহজাত বুদ্ধি ও যুক্তির নিরিখে সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করেন। প্রিয় মানুষের জন্য অকাতরে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন।
আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী কন্যা রাশির জাতক জাতিকারা তীক্ষ্ণ স্মৃতিশক্তির অধিকারী হয়ে থাকেন। এরা সচরাচর ভালোবাসার প্রতিদান পান না বলে মনে করেন। যে কারণে প্রায়ই অন্যের ওপর অভিমান করে থাকেন। তবে যাই হোক এরা সবসময় অন্যের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে ভালোবাসেন। ভালো কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আত্মতৃপ্তি পান। সঙ্গীত, গণিত, যুক্তি ও কর্ম দক্ষতায় এ রাশির জাতক জাতিকারা হন অনন্য। সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে এদের ওপর সহজেই গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব অর্পন করতে দেখা যায়।
কন্যারাশির জাতক জাতিকাদের পাচনতন্ত্র, প্লীহা, অন্ত্র ও স্নায়ূতন্ত্রের সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য: আপনার পছন্দ সামঞ্জস্যতা ও শৃঙ্খলা। আপনি বৈষম্য পছন্দ করেন না। খুব সহজেই মানুষকে আপন করে নেওয়ার মতো অসাধারণ গুণ আপনার রয়েছে। নতুন কোনো পরিবেশে গেলেও সঙ্গী জোগাড় করে নেওয়া আপনার জন্যে ব্যাপার না। এ রাশির জাতক/জাতিকাদের সঙ্গীত, ক্রীড়া কিংবা লেখালেখিতে ভালো করতে দেখা যায়।
তুলা রাশির জাতক/জাতিকারা সাধারণত সুদর্শন ও সৌন্দর্যের পূজারি হয়। বাহ্যিক অবয়বে কারও কারও চুল কোকড়া হতে পারে। এর সাধারণত রোমান্টিক ও বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন। সহজেই অন্যের সঙ্গে মিশতে পারেন। যোগাযোগমূলক কাজে এদের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। এদের পছন্দ সাম্যতা। অন্যায় কর্ম এদের নীতিবিরুদ্ধ। যে কোনো কাজ এরা ধীরে ধীরে করতে পছন্দ করেন। অনেকের ক্ষেত্রেই এ কারণে ভাগ্যোন্নয়ণ বিলম্বিত হয়ে থাকে। কর্মস্থলে এদের মতো মমতাময়ী ও সহযোগী পাওয়া দুষ্কর। অধস্তনদের দক্ষতা উন্নয়ণে এরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তুলা রাশির জাতক জাতিকাদের শরীরের দুর্বলতম অঙ্গ হচ্ছে কিডনি, ত্বক, কটিদেশীয় অঞ্চল ও নিতম্ব।
বৈশিষ্ট্য: আপনি আত্মসংযমী, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও গোপণীয়তা প্রিয়। নিজের দুঃখ কষ্ট সহজে অন্যকে বুঝতে দেন না। আপনি নিরিবিলি থাকতে বেশি পছন্দ করেন। সুযোগ বুঝে অন্যকে চমকে দিতে পারেন। জীবনের সকল অবস্থায় সততার সাথে প্রতিটি কাজ করতে চান। অতিন্দ্রীয় বিষয়ের প্রতি আগ্রহ থাকতে পারে। দায়িত্ব নেওয়ার মতো সাহস ও ধৈর্য আপনার রয়েছে। তবে একবার চটে গেলে আপনার কথাবার্তা বড় বেশি তীক্ষ্ণ ও কর্কশ হয়ে পড়ে।
বৃশ্চিক রাশির জাতক/জাতিকারা সাধারণত গবেষণামূলক কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন। সঙ্গীত, কলা ও লেখালেখির প্রতি এদের সহজাত আকর্ষণ রয়েছে। লেখক হিসেবে এরা বেশ সুনাম কুড়াতে পারেন। এরা যথেষ্ট বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন। তবে মাঝেমধ্যে নিজ ভুলে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন। প্রেম ও ভালোবাসার ক্ষেত্রেও এরা যথেষ্ট আন্তরিক।
বৃশ্চিক রাশির জাতক জাতিকাদের শরীরের দুর্বলতম অঙ্গ হচ্ছে গর্ভ, প্রজনন ও যৌণ অঙ্গ।
বৈশিষ্ট্য: সনাতন ধারণার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও দর্শনের প্রতি আপনার আগ্রহ রয়েছে। আবেগ বা কল্পনা নয় বাস্তবতার নিরিখে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করেন। আপনি ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন।
আপনি নতুন কিছু অনায়াসে শিখতে পারেন। আপনি যথেষ্ট ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও প্রকৃত জ্ঞানের অধিকারী। জীবনের অনেক ক্ষে্ত্রে অন্যরা আপনার দর্শন বুদ্ধি ও পরামর্শ অনুসরণ করে। স্রষ্টা সচেতনতা ও পরোপকারের মানসিকতা আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দেবে। ব্যক্তিজীবনে আপনি সৎ। অন্যকেও সততা ও ভালো কাজে উৎসাহিত করতে ভালোবাসেন। অসতর্কতা ও অতিরিক্ত উদ্বিগ্নতার ফলে প্রায়ই ভুল বোঝাবুঝির শিকার শিকার হতে পারেন। তবে কারও সমালোচনা ও বিতর্ক করা থেকে বিরত থাকুন।
ধনু রাশির জাতক জাতিকাদের শরীরের দুর্বলতম অঙ্গ হচ্ছে যকৃত ও উরু।
বৈশিষ্ট্য: আপনি কিছুটা আরামপ্রিয় ও ধীরস্থির। ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও পেশাগত জীবনে এ নিয়ে আপনাকে অনেক চড়াই উৎরাই পার হতে হবে। আপনি আগ বাড়িয়ে নতুন কারও সঙ্গে পরিচিত হওয়া বা সবার সাথে সহজে মিশতে পারেন না। নিজের মধ্যে জড়তা কাজ করে।
আপনি অধ্যবসায়ী, পরিশ্রমী ও স্বাধীনচেতা। জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই আপনি সহনশীল ও হিসেবী। জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই আপনার সাফল্য এসেছে। আর তাই আপনার জীবনদৃষ্টি অন্যদের চেয়ে আলাদা।
পুরানো রীতিনিতি মেনে চলতে আপনি পছন্দ করেন। নিজেকে সবসময় শুদ্ধ ও নিরাপদ রাখতে চান। আপনার দায়িত্বজ্ঞান ও সচেতনতার ফলে অন্যরা সহজে আপনাকে বিশ্বাস করে। রহস্যজনক বিষয়ের প্রতি আপনার ঝোঁক থাকতে পারে।
এ রাশির জাতক/জাতিকাদের জীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। সাফল্য সাধারণত বেশি বয়সে আসে। এরা সদা সতর্ক ও হিসেবী হয়ে থাকেন। আরামপ্রিয় বলে অনেক সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। এরা যথেষ্ট কর্মশক্তির অধিকারী। সহজাতভাবে এদের মধ্যে সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে। মাঝে মধ্যে আর্থিক সংকটের মধ্যে দিনাতিপাত করতে হয়। ভাগ্যোন্নয়ণে এদের কর্মের বিকল্প নেই। নানারকমের প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করার মাধ্যমে এদেরকে সামনের পথে এগিয়ে চলতে হয়। এরা বাস্তব জীবন সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখেন বলে কল্পনায় ভেসে বেড়ান না।
শরীরের দুর্বলতম অঙ্গ হচ্ছে হাঁটু, জয়েন্ট, কংকালতন্ত্র ও রক্তসংবহনতন্ত্র। কারও কারও ক্ষেত্রে পায়ে কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন কিংবা অসুবিধা থাকতে পারে।
বৈশিষ্ট্য: আপনি যথেষ্ট ধৈর্যশীল ও সতর্ক। একাধিক বিষয়ের প্রতি আপনার আগ্রহ রয়েছে। প্রচলিত নিয়ম ও শৃঙ্খল ভেঙে আপনি নতুন কিছু করতে চান।
আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকারা সাধারণত স্বাধীনচেতা ও পরোপকারী হয়ে থাকেন। নিত্য নতুন আবিষ্কারের প্রতি এদের সহজাত আকর্ষণ রয়েছে। এরা যথেষ্ট পরিশ্রমী। ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা খুবই কম হয়ে থাকে। যোগাযোগমূলক কাজে এদের দক্ষতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। কমবেশি সব বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখার চেষ্টা করেন। অধিকাংশ সময়ই এরা স্বাধীন পেশার প্রতি আগ্রহী হয়ে থাকেন। গতানুগতিক নিয়ম ও শৃঙ্খলার প্রতি এদের তীব্র অসন্তোষ লক্ষ্য করা যায়।
কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকাদের শরীরের দুর্বলতম স্থান হচ্ছে হাঁটু ও গোড়ালি। এদের মধ্যে কারও কারও পায়ে আঘাত, মচকানো বা অন্যকোনো সমস্যা থাকতে দেখা যায়।
শুভ বার: রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতি।
বৈশিষ্ট্য: আপনি শান্ত প্রকৃতির। আপনার মধ্যে মানবিক গুণাবলী স্পষ্টভাবে বিদ্যমান। আপনি পরোপকারী, জানেন মানুষকে কীভাবে ভালোবাসতে হয়।
আপনি সদা হাসিখুশি থাকতে পছন্দ করেন। নিজের কষ্ট সহজে অন্যকে বুঝতে দেন না। আপনি ভ্রমণ প্রিয়, দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতে আপনি পছন্দ করেন। আচার ব্যবহারে যথেষ্ট আন্তরিকতা ও বন্ধুবৎসল হওয়ায় যে কোনো বয়সিদের সঙ্গে সহজেই মিশতে পারেন। যে কোনো কিছু ঘটার আগে ইনটুইশনের মাধ্যমে তা বুঝতে পারেন। রহস্যজনক বিষয়ের প্রতি আপনার অনুরাগ থাকবে।
এরা সাধারণত ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে থাকেন। জলজাতীয় পণ্য, কৃষি ও শিক্ষকতায় পেশায় এদের সফল হতে দেখা যায়্।
এ রাশির জাতক জাতিকাদের পায়ের পাতায় ও আঙুলে সমস্যা থাকতে দেখা যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে স্থূলতা, মেদাধিক্য থাকতে পারে। এছাড়াও পায়ের পাতা বেঁকে যাওয়া বা অন্য কোনো ধরনের আঘাত বা অসুবিধা থাকতে পারে।
কিছু মন্ত্র জপ করলে জিহ্বা, কণ্ঠতন্ত্র, ঠোঁট, তালু এবং শরীরের অন্যান্য সংযোগ বিন্দুতে চাপ পড়ে। মন্ত্র জপ হাইপোথ্যালামাস নামক একটি গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে। এটি অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি এবং কিছু সুখী হরমোন সহ শরীরের অনেক ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করে। আপনি যত সুখী হবেন, আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তত শক্তিশালী হবে।
মন্ত্রের কিছু স্পন্দিত ধ্বনি মনকে শান্ত করে এমন হরমোনকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। এটি আপনার শরীরকে বিশ্রাম দেয়। এটি আপনাকে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে এবং এইভাবে আপনার মনের জন্য একটি প্রশান্তিকারী হিসাবে কাজ করে।
একটি গবেষণা এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা মন্ত্র উচ্চারণ করেন তাদের একাগ্রতা এবং শেখার শক্তি বেশি ছিল। কারণ আপনি যখন জপ করেন তখন এটি আপনার মুখ এবং মাথার চক্রগুলিকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে যা একাগ্রতা এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
মন্ত্র জপ করার মাধ্যমে একজন খুব শান্ত হয়ে যায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, যা আপনার হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
স্ট্রেস সংক্রান্ত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। বৈদিক মন্ত্রগুলি একজন ব্যক্তিকে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়। মন্ত্রের জপ শরীরকে শিথিল করে এমন হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে। এটি মানসিক চাপ দূর করে। মন্ত্রের নিয়মিত জপ মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে।
মন্ত্র জপ রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে এবং বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। মন্ত্র জপ করার শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরণ আপনার ত্বককে অক্সিজেন দিতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে তারুণ্য এবং উজ্জ্বল দেখায়।
২০২২ সাল মেষ রাশির জাতকদের মিশ্র ফল দেবে। এই সময়ের মধ্যে সাফল্য অর্জনের জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হতে পারে। তবে আপনি আপনার কঠোর পরিশ্রমের ভাল ফল পাবেন। এই বছর আপনার আর্থিক অবস্থার উন্নতির শক্তিশালী সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও কিছু ক্ষেত্রে আপনি প্রত্যাশিত ফলাফল পেতে পারেন, কিছু ক্ষেত্রে আপনি হতাশ হবেন। এই বছর আপনার ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে বড় পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।
মঙ্গল গ্রহ মাসের শুরুতে অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি ধনু রাশিতে প্রবেশ করবে। মঙ্গলের প্রভাব আপনাকে আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনুকূল ফল দেবে, সেইসাথে এই গোচরের প্রভাব মেষ রাশির জাতকদের জীবনেও ইতিবাচকতা আনবে। এছাড়াও, এপ্রিল গুরু বৃহস্পতির গোচরও তার নিজের রাশিতে অর্থাৎ মীন রাশিতে হবে, যার ফলে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী শিক্ষায় ব্যাপক সাফল্য পাবে। যেহেতু কর্মফল দানকারী শনি এই বছর অধিকাংশ অংশে আপনার দশম ভাবে উপস্থিত থাকবেন, তাই জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের জন্য আপনাকে আগের চেয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
বার্ষিক রাশিফল ২০২২ অনুসারে, ২০২২ সালের শুরু এই রাশির প্রেমী জাতকদের জীবনে কিছু চ্যালেঞ্জ দেখাচ্ছে। তার সাথেই শনি এবং বুধের সংমিশ্রণ ২০২২ সালের শুরু থেকে মার্চ পর্যন্ত, আপনার কিছু ছোটখাটো স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া, মধ্য মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত মীন রাশিতে মঙ্গলের গোচরের কারণে, আপনি হজম সংক্রান্ত সমস্যায়ও ভুগতে পারেন। এইরকম পরিস্থিতিতে, আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া, আপনার ডায়েটে মনোযোগ দিতে হবে। আগস্ট পর্যন্ত মঙ্গল দেব নিজের রাশিতেই হবে আর চতুর্থ ভাবে উনার দৃষ্টিও হবে, আর তারপরে উনি দ্বিতীয় ভাবে গোচর করবেন যারফলে আপনার পারিবারিক জীবনে বিশেষ প্রভাব দেখতে পাওয়া যাবে।
২০২২ সালে আপনার জীবনে উত্থান-পতন আসবে। প্রতিকূলতার মধ্যেও আপনি সাহসের সাথে প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবেন। এই বছরটি বৃষ রাশির শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে দারুণ সাফল্য পাবেন। বছরের মাঝামাঝি সময় খুব ভাল ফল পাবেন। এই সময়ে আপনার আর্থিক সমস্যার অবসান হতে পারে। পারিবারিক জীবনের ক্ষেত্রে এই সময়টি খুব শুভ হতে চলেছে। বাড়িতে সুখ আসবে এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক উন্নত হবে।
এই বছর আপনি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ফলাফল প্রাপ্ত চলেছে । শুরুর মাসের মাঝামাঝি ১৬ জানুয়ারি মঙ্গল দেবের ধনু রাশিতে হতে চলা গোচর আপনার ভাগ্যের সাথ দিতে চলেছে। যা ফলে আপনি আপনার জীবনের অনেক ক্ষেত্রে অপার সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবেন। এই বছর আপনি আপনার ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রেও অনুকূল ফলাফল পাবেন, সেইসাথে আপনি আপনার পেশাগত জীবনেও উন্নতি করতে সক্ষম হবেন। এর ছাড়াও, শনির আপনার রাশির নবম ভাবে উপস্থিতি আপনাকে আয়ের অনেক উৎস তৈরি করতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে এই বছরের এপ্রিল মাসে, অনেক গ্রহের স্থান পরিবর্তন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, আপনি এই সময়ে ধন -সম্পদ সঞ্চয় করতে সফল হবেন।
যদিও, বার্ষিক রাশিফল ২০২২ অনুসারে, এই বছরের আগস্ট এবং অক্টোবরের মধ্যে ধন সম্পর্কিত অনেক উত্থান -পতনের কারণে, আপনাকে কিছু আর্থিক সংকটের মোকাবেলা করতে হবে। এপ্রিলে মীন রাশিতে গুরু বৃহস্পতি গোচর করবে, যার ফলে আপনার একাদশ ভাব প্রভাবিত হবে। পরিণামস্বরূপ, আপনি আপনার সুখ-সুবিধা এবং নিজের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে মন খুলে ব্যয় করবেন। এ ছাড়া, অনেক বৃষ রাশির জাতক এই বছর তাদের সিনিয়ারদের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম হবে। ২০২২ বছরের শেষ তিন মাস অর্থাৎ অক্টোবর, নভেম্বর এবং ডিসেম্বর আপনার সন্তানের জন্য সবচেয়ে অনুকূল হতে চলেছে।
২০২২ সালের শুরুটা মিথুন রাশির জাতকদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সময়ে আপনার স্বাস্থ্য ভাল থাকবে না। ব্যয় বৃদ্ধি আপনার দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিতে পারে। গ্রহের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। এপ্রিলের পরের সময়টি আপনার জীবনে স্বস্তি নিয়ে আসবে। এই রাশির বেকারদের অগস্টের শেষের দিকে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আপনার প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় রাখার চেষ্টা করুন।
গ্রহের স্থিতি এই ইঙ্গিত করছে যে এই বছর মিথুন রাশির জাতকদের জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি অনেক ভাল সুযোগ পেতে চলেছে। এই বছরের শুরুতে, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত শনি দেব আপনার রাশির নিজেরই অষ্টম ভাবে উপস্থিত থাকবেন। যার ফলে আপনার কিছু আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং সমস্যার সম্মুখীন করতে হতে পারে। এই সময়টি মিথুন রাশির মানুষের জন্য পরীক্ষার সময় হিসেবে প্রমাণিত হবে। এছাড়া ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আপনি অনেক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে পারেন যেমন অ্যাসিডিটি, জয়েন্টে ব্যথা, সর্দি-কাশি ইত্যাদি।
যদিও, এপ্রিলের মাঝামাঝি পরে, রাহুর গোচর একাদশ ভাবে গোচর হওয়ার ফলে, মিথুন রাশির জাতকদের জীবনে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এর পরে, এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে, যখন মীন রাশিতে বৃহস্পতির গোচর হবে, তখন সেই সময়টি বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের জন্য ভাগ্যবান প্রমাণিত হবে। কারণ এই সময়ে মিথুন রাশির শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষায় ইচ্ছানুসার ফলাফল পেতে সক্ষম হবে। এটি উল্লেখযোগ্য যে ২৭ এপ্রিলের পরে আপনার রাশির নবম ভাবে শনি দেবের স্থান পরিবর্তন ইঙ্গিত দিতে পারে যে যারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের সাফল্য পেতে আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। অন্যদিকে, যারা চাকরি খুঁজছেন তারা মে এবং আগস্টের মধ্যে ভাল ফলাফল পাবেন। কারণ এই সময়ে, মঙ্গল দেব গোচর করার সময়, আপনার রাশি থেকে দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ ভাবে প্রবেশ করবে, যা আপনাকে অনেক ভাল সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা দেবে।
বছরের শুরুতে আপনি আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এই সময়ে অর্থ নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাদ বাড়তে পারে, পাশাপাশি আপনি আপনার কাজ নিয়ে চিন্তিত থাকবেন। আপনি যদি পার্টনারশিপে ব্যবসা করছেন, তবে এই সময়টি আপনার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। ব্যবসায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। এপ্রিল থেকে অগস্ট পর্যন্ত সময়টি আপনার জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। এই সময়ে আপনার ভাগ্য পরিবর্তন হতে পারে। আপনার বুদ্ধি এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়ে আপনি ব্যর্থতাকে সাফল্যে পরিণত করতে পারেন।
এই বছরের শুরুতে আপনার রাশির সপ্তম ভাবে উপস্থিত শনিদেবের প্রভাব জীবনে অনেক সমস্যার জন্ম তো দেবে, কিন্তু ১৬ ই জানুয়ারি ধনু রাশিতে মঙ্গলের গোচর, আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে এবং এটি আপনাকে অবিলম্বে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে। তবে, স্বাচ্ছন্দ্য এবং সুখের অনুভূতিতে মঙ্গলের উপস্থিতি আপনার মাকে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা দিতেও কাজ করবে। অতএব, উনার ভাল যত্ন নিন, উনার খাবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নিন।
এর পরে, এপ্রিল মাসে অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ গ্রহের গোচর এবং রদবদল হবে, যা আপনার জীবনে অনেক পরিবর্তন আনবে। এর সাথে, এই বছর কুম্ভ রাশিতে শনির গোচরের কারণে আপনার আর্থিক জীবন প্রভাবিত হবে। যদিও, এপ্রিলের শেষ থেকে মধ্য জুলাই পর্যন্ত সময়টি আপনার জন্য ফলদায়ী প্রমাণিত হতে চলেছে। যদিও এরপরে এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্তের সময় আপনার জন্য ফলদায়ী হতে চলেছে। গুরু বৃহস্পতি মধ্য এপ্রিল কে মীন রাশিতে নবম ভাবে নিজের গোচর করবে, যার পরিণামস্বরূপ আপনার জীবনে কিছু পজেটিভিটি আসবে আর আপনি আপনার জীবনে উপস্থিত সমস্যাগুলি সমাপ্ত করতে সক্ষম হবে। এর পরে, মেষ রাশিতে রাহু গ্রহের গোচর আপনাকে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ দেবে। ছায়া গ্রহ রাহুর শুভ স্থিতি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্কট রাশির জাতক জাতিকাদের ভাগ্যের সাথ দিবে। জুন-জুলাইয়ের মধ্যে, মেষ রাশিতে প্রবেশ করে মঙ্গলে আপনার রাশির একটি সম্পূর্ণ দৃষ্টি করবে। যার ফলে বিবাহিত ব্যক্তিরা তাদের বিবাহিত জীবনে সব ধরনের প্রতিকূলতা থেকে মুক্তি পেতে সক্ষম হবে।
নতুন বছর সিংহ রাশির জাতকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। বছরের শুরুতে আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। এই সময়ে সন্তানের দিক থেকে সুখ আসবে। তার স্বাস্থ্য ভাল থাকবে এবং শিক্ষাক্ষেত্র থেকে প্রশংসা আসবে। টাকা সংক্রান্ত দুশ্চিন্তা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন। বছরের মাঝামাঝি সময়ে আপনাকে একটু সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সময়ে আপনি আপনার স্বাস্থ্য নিয়ে খুব চিন্তিত থাকবেন এবং স্বাস্থ্যের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয়ও হতে পারে। বছরের শেষ মাসগুলিতে আপনার বিবাহিত জীবনে অনেক উত্থান-পতনের পরে স্থিতিশীলতা আসবে।
এই বছরটি সিংহ রাশির জাতকদের জন্য মিশ্র থাকবে। আপনার রাশির পঞ্চম ভাবে বৃহস্পতির উপস্থিতি, বিশেষ করে শুরুর সময় অর্থাৎ জানুয়ারী মাসে, আপনার আর্থিক জীবনে ইতিবাচকতা আনতে কাজ করবে। এর সাথে, জানুয়ারির শেষ থেকে মার্চ পর্যন্ত, মঙ্গল গ্রহের গোচর আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যের সঠিক উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। যারফলে আপনাকে তাদের সাথে কিছু সময় কাটাতে দেখা যাবে। ২৫ জানুয়ারি, আপনার রাশি থেকে মঙ্গল ষষ্ঠ ভাবে উপস্থিত হবে, যা কুন্ডলীর ভাগ্য ভাব। এই সময় আপনি কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে ইতিবাচক ফলাফল পাবেন, যার কারণে আপনি প্রচুর সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
যদিও, এই বছর সিংহ রাশির জাতকদের একটু বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিল মাসে। কারণ এই সময়ে অনেক গ্রহের সংমিশ্রণ এবং রদবদল আপনাকে প্রতিকূল ফলাফল দিতে কাজ করবে।
এপ্রিল মাসটি সিংহ রাশির জাতকদের জন্য কিছু অপ্রকাশিত ঘটনাতে ভরে থাকবে। এছাড়াও, ১২ এপ্রিল ছায়াগ্রহ রাহুর মেষ রাশিতে হতে চলা গোচর আপনার নবম ভাবে প্রভাব ফেলবে। যার ফলে আপনার কিছু স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন করতে হবে, এমন পরিস্থিতিতে আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন এবং ভাল খাবার গ্রহণ করুন। ১৬ এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত, মীন রাশিতে প্রবেশ করার সময় বৃহস্পতি আপনার পঞ্চম ভাবে থাকবে। যার ফলস্বরূপ, আপনি জীবনে ভাগ্যের সমর্থন পাবেন এবং মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণকারী অধিকাংশ শিক্ষার্থী, এটি তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী প্রতিটি পরীক্ষায় ব্যাপক সাফল্য অর্জনের সম্ভাবনাও তৈরি করবে।
এরপরে, ২২ এপ্রিলের পরে, মেষ রাশিতে রাহুর উপস্থিতির ফলে কর্মক্ষেত্রে আপনার বস এবং বরিষ্ঠ অধিকারীর সাথে আপনার সম্পর্ক উন্নত করতে সহায়ক হবে। কর্মক্ষেত্রে আপনার পদ-প্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি ছাড়াও, আপনার পদোন্নতি এবং বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও রয়েছে। আপনি যদি বিবাহিত হন এবং আপনার স্ত্রীর সাথে আপনার কোন বিবাদ চলছে, তাহলে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে, আপনাদের মধ্যে সমস্ত বিরোধ দূর করে, আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে ভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। এছাড়া, ১০ আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে মঙ্গল দেবের বৃষ রাশিতে হতে চলা গোচর আপনার জন্য ভাগ্যবান প্রমাণিত হবে। যার ফলে আপনি অসাধারণ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
২০২২ সালটি কন্যা রাশির জাতকদের জন্য খুব শুভ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বছরের শুরুর দিনগুলো দারুণ স্বস্তির হতে পারে। এই সময়ে আপনার আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী হবে। আপনি কম পরিশ্রমে ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই বছর আপনি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভাল সাফল্য পেতে পারেন। যদি আপনার কাজে কোনও বাধা আসে, তবে আপনি সম্পূর্ণ সাহসের সাথে প্রতিটি বাধা অতিক্রম করতে সক্ষম হবেন। আপনার ব্যক্তিগত জীবনে উত্থান-পতন থাকবেই। তাই বিবাহিত জীবনে আপনাকে আরও মনোযোগ দিতে হবে।
জানুয়ারী মাসে ধনু রাশিতে মঙ্গল দেবের হতে চলা গোচর, আপনাকে ধন এবং আর্থিক সমৃদ্ধি দিতে কাজ করবে এবং আপনাকে আপনার সমস্ত আর্থিক অসুবিধা থেকে মুক্তি পাবেন। যদিও, স্বাস্থ্যের দিক থেকে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে, কারণ এই সময়টি আপনাকে স্বাস্থ্যের কিছুটা অবনতিও দিতে পারে। এর পরে, এপ্রিল, জুন এবং সেপ্টেম্বর মাসগুলি আপনার জন্য কিছুটা প্রতিকূল হবে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, আপনাকে আপনার স্বাস্থ্যের বিষয়ে সর্বাধিক সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এই বছরের মার্চের শুরুতে চারটি প্রধান গ্রহের উপস্থিতি: শনি, মঙ্গল, বুধ এবং শুক্র একসাথে "চতুরগ্রহ যোগ" গঠনের জন্য কন্যা রাশির জাতকদের আয়ের নতুন উৎস থেকে ভাল মুনাফা অর্জন করতে সাহায্য করবে। এর পরে, এপ্রিলের শেষে, শনি তার অবস্থান পরিবর্তন করতে করতে কুম্ভ রাশিতে উপস্থিত হবে, যার ফলে আপনার ষষ্ঠ ভাব সক্রিয় থাকবে এবং জুন পর্যন্ত এখানে শনির উপস্থিতি আপনার এবং আপনার পরিবারের মধ্যে কিছু মতভেদাভেদ তৈরি করতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে, পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলার সময়, সঠিক ব্যবহার করুন। যারা শিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন, তারা সম্ভবত সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত খুব অনুকূল ফলাফল পাবে। এর সাথে তুলার রাশিতে বুধ গ্রহের গোচর আপনার দ্বিতীয় ভাবকে প্রভাবিত করবে এবং এর কারণে অক্টোবর থেকে মধ্য নভেম্বর পর্যন্ত আপনার প্রেমের সম্পর্কে ইতিবাচকতা থাকবে।
জ্যোতিষশাস্ত্র হল একটি ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বিজ্ঞান যার নিজস্ব পদ্ধতি, দাবি এবং ফলাফল রয়েছে যা চিরকাল অনুপ্রাণিত করে এবং মানুষকে তাদের জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি দেয়। এই দিকগুলির মধ্যে রয়েছে আপনার প্রেম-জীবন, পেশা, ব্যবসা, আর্থিক সমৃদ্ধি এবং আরও অনেক কিছু। এই সমস্ত দিকগুলি আমাদের জীবনকে কোনও না কোনওভাবে প্রভাবিত করে এবং আমরা সাধারণত তাদের ইতিবাচক পথে যেতে চাই। কিন্তু অবশ্যই, এটা সবসময় সম্ভব নয়। এমন এক সময় যখন জ্যোতিষশাস্ত্র আপনার ত্রাণকর্তা হতে পারে।
তুলা রাশির জাতকরা কিছু ক্ষেত্রে বড় স্বস্তি পেতে পারেন। চাকুরিজীবীদের পদোন্নতি হতে পারে। আপনার আয় বৃদ্ধি হতে পারে। এই বছরটি ব্যবসায়ীদের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। অনেক কঠিন সংগ্রামের পর আপনি সফলতা পাবেন। কাজে বাধা আসতে পারে। বছরের মাঝামাঝি সময়ে আপনার বিবাহিত জীবনে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। এই রাশির অবিবাহিতদের জন্য নভেম্বরের পর বিবাহের যোগ আছে।
তুলা রাশির জাতকদের নতুন বছর ২০২২ এর শুরুতে শারীরিক, মানসিক এবং কর্মজীবন সম্পর্কিত অনুকূল ফলাফল মিলবে। কিন্তু ব্যবসা এবং পরিবারের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে, পরিস্থিতি কিছুটা বেদনাদায়ক হতে চলেছে। মধ্য জানুয়ারিতে ধনু রাশিতে মঙ্গল গ্রহের গোচরও আপনাকে আর্থিক জীবনে শুভ ফল দিতে চলেছে, যার ফলস্বরূপ আপনি আপনার সম্পদ সঞ্চয় করতে সফল হবেন। এর পরে, মার্চের শুরুতে শনি, মঙ্গল, বুধ এবং শুক্র মিলে আপনার রাশিতে 'চতুরগ্রহ যোগ' গঠন করবে এবং এটি আপনার সমস্ত আর্থিক বাধা দূর করবে এবং আপনার আয় বাড়াবে।
অন্যদিকে, যদি আমরা ছাত্রদের ব্যাপারে কথা বলি, তাহলে এপ্রিল মাসে মীন রাশিতে বৃহস্পতির গোচর তুলা রাশির ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে ইচ্ছানুসারে পরিনাম দেবে। তারপর মে থেকে নভেম্বরের মধ্যে, আপনি কোন বিদেশী ভূমি, চাকরি বা শিক্ষা সম্পর্কিত কিছু ভাল খবর পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ২৫ শে ফেব্রুয়ারি আপনার রাশির চতুর্থ ভাবে লাল গ্রহ মঙ্গলের গোচরও এই রাশির শিক্ষার্থীদের স্বার্থক পরিনাম ফলাফল দেওয়ার দিকে ইশারা করছে। যেখানে এপ্রিল মাসে, মেষ রাশিতে ছায়াগ্রহ রাহুর উপস্থিতি এবং আপনার সপ্তম ভাবে এর প্রভাব প্রেমের সম্পর্কের সাথে-সাথে বিবাহিতদের জীবনে অনেক বড় পরিবর্তন নিয়ে আসতে চলেছে। যারা এখনও অবিবাহিত, তারা সম্ভবত ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে।
অর্থের দিক থেকে ২০২২ সাল বৃশ্চিক রাশির জাতকদের জন্য মিশ্র হবে। এই সময়ে আপনি না চাইলেও আপনাকে বড় খরচ করতে হতে পারে। ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে আপনার আর্থিক অবস্থাও খারাপ হতে পারে। বছরের প্রথম মাসগুলিতে আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হতে পারেন, তবে আপনি সেপ্টেম্বর মাসে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন। এবছর কাজের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার ভাল সুযোগ পেতে পারেন। অলসতা ত্যাগ করুন এবং সম্পূর্ণ শক্তি ও উদ্যম নিয়ে এগিয়ে যান। প্রেমের জীবনে উত্থান-পতন হতে পারে।
নতুন বছর বৃশ্চিক রাশির জাতকদের জন্য মিশ্র ফল নিয়ে আসবে। ২০২২ সালের শুরু থেকে এপ্রিল পর্যন্ত, আপনাকে অনেক অপ্রয়োজনীয় খরচ মোকাবেলা করতে হবে। তারপরে এপ্রিলের শেষের দিকে, কুম্ভ রাশিতে শনির গোচর আপনার কর্মজীবন, আর্থিক জীবন এবং পারিবারিক জীবনে মিশ্র পরিনাম দেওয়ার কাজ করবে। এর পরে, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে মীন রাশিতে বৃহস্পতির হতে চলা গোচর আপনার রাশিচক্রের পঞ্চম ভাবকে প্রভাব করবে। যার পরিণামস্বরূপ আপনার অবস্থা ভালো হবে এবং আপনি কিছু আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পাবেন। এর সাথে, এই মাসের ১২ এপ্রিল, রাহুর অবস্থান পরিবর্তন আপনার স্বাস্থ্যের যথাযথ উন্নতির যোগ তৈরি করবে। যদিও, এরপরেও আপনি মানসিকভাবে অনেকটা চাপে থাকবেন, যা আপনার জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।
এই বছর মে থেকে সেপ্টেম্বর মাঝে, অনেক শুভ গ্রহের অনুকূল স্থিতির কারণে, আপনি ভাল অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। তারপর সেপ্টেম্বর মাসে আপনার লাভ ও মুনাফার ভাবে শুক্র গ্রহের হতে চলা গোচর আপনাকে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ এবং মুনাফা দেবে। এর পরে, ১২ আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত, আপনার নবম ভাবে শুক্রের গোচর আপনার মায়ের যত্নের দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই অবস্থায়, এই সময় তার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন এবং তার খাবারের প্রতি বিশেষ সাবধান থাকুন।
যদি আমরা আপনার প্রেমের জীবনের দেখি তাহলে, এপ্রিলের শেষে কুম্ভ রাশিতে শনির স্থানান্তর এবং তার আপনার চতুর্থ ভাবে বিরাজমান হওয়া, আপনার এবং আপনার প্রিয়জনের মধ্যে অনেক ছোট-ছোট বিষয় নিয়ে তর্ক এবং ঝগড়ার সৃষ্টি করবে। যদিও, এই সময় আপনাকে এই সুন্দর সম্পর্কে ভরসা রেখে আপনার প্রেমিকার সাথে সব ধরনের ঝগড়া করা এড়াতে হবে। এছাড়া, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত কন্যা রাশিতে শুক্র গ্রহের গোচর, আপনার একাদশ ভাবকে প্রভাবিত করবে। যে কারণে শুক্র আপনার রাশিতে দুর্বল অবস্থানে থেকে, এটি আপনাকে এবং আপনার প্রিয়জনকে একে অপরকে বোঝার জন্য অনেক সময় দেবে এবং পরিণামস্বরূপ, আপনারা দুজনেই একসাথে প্রতিটি বিরোধ সমাধান করতে এবং একটি ভাল সময় কাটাতে সক্ষম হবেন।
নতুন বছরের শুরুটা আপনার জন্য ভাল হবে। এই সময়ে অর্থ সংক্রান্ত প্রচেষ্টা সফল হতে পারে এবং আপনার আর্থিক সমস্যা কেটে যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় আসা ছোটো-বড় প্রতিটি বাধা দূর হয়ে যাবে এবং আপনি আপনার পড়াশুনা নিষ্ঠার সাথে করতে পারবেন। গ্রহের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে এই সময়ে আপনার মানসিক উদ্বেগও বাড়তে পারে। প্রেম ও বিবাহিত জীবনে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে পারেন। এই সময়ে আপনার কথাবার্তায় অনেক তিক্ততা থাকবে। বছরের শেষের দিকে কর্মক্ষেত্রে ভাল সাফল্য পেতে পারেন।
ধনু রাশির জাতকদের জন্য সাল ২০২২, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ব্যাপারে অনুকূল থাকবে। সাল ২০২২ এর শুরুতে অর্থাৎ জানুয়ারিতে মঙ্গল গ্রহের আপনার নিজের রাশিতে হতে চলা গোচর ,আপনাকে অর্থ সম্পর্কিত সমস্ত বিষয়ে একটি শক্তিশালী অবস্থান পেতে সহায়তা করবে। শিক্ষার দিক থেকেও, ২০২২ সালের শুরু ধনু রাশির শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকূল হবে। তারপরে ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত, আপনি আপনার কঠোর পরিশ্রম অনুযায়ী ফলাফল পাবেন এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন শিক্ষার্থীরা এই সময় তাদের প্রত্যাশা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন।
যদিও, এই বছরের শুরুতে ধনু রাশিতে মঙ্গল গ্রহের গোচরের কারণে অনেক জাতকদের মানসিক চিন্তা এবং চাপের কারণ হবে। তার সাথে, মঙ্গলের আপনার সপ্তম ভাবের দিকে দৃষ্টি পারিবারিক জীবনেও কিছু মতভেদ উৎপন্ন করতে পারে। এবার যদি কথা বলা হয়, আপনার বিবাহিত জীবন এবং প্রেমের জীবন সম্পর্কে তাহলে, জানুয়ারিতে সূর্য্য দেবের কর্মফলদাতা শনির সাথে মকর রাশির মিলন আপনার এবং আপনার সঙ্গীর মধ্যে অনেক ধরণের সমস্যা এবং ভুল বোঝাবুঝির জন্ম দিতে পারে। এইরকম পরিস্থিতিতে, আপনাকে বিশেষভাবে আপনার ভাষাগুলিতে নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে গুরু বৃহস্পতি নিজেরই রাশি মীন রাশিতে গোচর করা পরিস্থিতির কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসবে। যার ফলস্বরূপ জুন থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত, আপনার বিবাহিত জীবনে অনেক বড় পরিবর্তন হবে এবং আপনাকে এই সালের শেষ পর্যায়ে আপনার বিবাহিত জীবনের আনন্দ মন খুলে উপভোগ করতে দেখা যাবে। কেননা এই সময় গুরু বৃহস্পতি আপনার রাশি থেকে চতুর্থ ভাবে বিরাজমান হবে। যদি আমরা কথা বলি আপনার পেশাগত জীবনের তাহলে, নভেম্বর থেকে আপনার জীবনে আমদানীর নতুন উৎস উন্মোচিত হবে। স্বাস্থ্যের দিক থেকেও, জুন মাসে আপনার ষষ্ঠ ভাবে শুক্রের গোচর আপনাকে অক্টোবর পর্যন্ত সব ধরণের বড় এবং গুরুতর রোগ সম্পর্কে সচেতন হতে সাহায্য করবে।
এই বছর মকর রাশির জাতকদের জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, তবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আপনি পূর্ণ সাহসের সাথে কাজ করবেন। শনিদেবের কৃপায় আপনার পথে আসা বাধা দূর হবে। স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখুন। ছোটোখাটো সমস্যাকে উপেক্ষা করার মতো ভুল করবেন না। আর্থিক দিকেও সতর্ক থাকুন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক মজবুত রাখতে, আপনাকে তাদের যথেষ্ট সময় দিতে হবে। ঘরের কোনও সমস্যা শান্তভাবে সমাধান করার চেষ্টা করুন। জীবনসঙ্গীর সাথে কোথাও যাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন।
এই সাল মকর রাশির জাতকদের জন্য উত্থান -পতন পূর্ণ বলে প্রমাণিত হবে। এই বছরের শুরুর দিকে নিজস্ব রাশিতে শনির স্থান পরিবর্তন, আপনার ক্যারিয়ার, আর্থিক এবং শিক্ষার জন্য খুব অনুকূল প্রমাণিত হতে চলেছে। যদিও, এপ্রিল মাসে, আপনাকে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।
অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, আপনার রাশি থেকে দ্বাদশ ভাবে মঙ্গলের গোচর আপনাকে অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা দেবে। যার ফলে আপনি আপনার টাকা সঞ্চয় করতে ব্যর্থ হবেন। যদিও, ব্যবসায়ীদের জন্য, সেপ্টেম্বর থেকে বছরের শেষ সময় পর্যন্ত খুব ফলদায়ী প্রমাণিত হবে। আপনার স্বাস্থ্যের কথা বলতে গেলে, এপ্রিল মাসে কুম্ভ রাশিতে শনির গোচর আপনাকে কিছু ছোটখাটো স্বাস্থ্য সমস্যা দিতে পারে। সেইজন্য নিজের খাবার-দাবারে ভাল করে খেয়াল রাখুন রাখুন এবং প্রতিদিন যোগ এবং ব্যায়াম করুন। এ ছাড়া, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে, আপনাকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে হজম বা পেট সংক্রান্ত কোন সমস্যা উপেক্ষা করবেন না এবং প্রয়োজনে একজন ভাল ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
শিক্ষার্থীদের জন্য, জানুয়ারী মাসে, মঙ্গল গ্রহের গোচর আপনাকে অতিরিক্ত পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টা করাতে চলেছে। এ ছাড়া, এই বছরের শুরুতে ছায়া গ্রহ কেতুও বৃশ্চিক রাশিতে উপস্থিতি হওয়া আপনার জীবনে অনেক পারিবারিক সমস্যার জন্ম দিতে পারে। এইরকম পরিস্থিতিতে, আপনাকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের সাথে আপনার সম্পর্ক ভালো করুন এবং ছোট-ছোট বিষয়ে তাদের সাথে তর্ক করবেন না।
প্রেমের সম্পর্কের সাথে-সাথে এবং বিবাহিত জীবনেও, আপনি এই সময় মিশ্র ফলাফল পাবেন। এপ্রিল মাসে আপনার রাশিচক্র থেকে তৃতীয় ভাবে বৃহস্পতি গ্রহের গোচর, বিশেষ করে ভালোবাসায় জড়িত প্রেমীদের জন্য অনুকূল ফল দেবে। একই ভাবে, এই বছরের শুরুতে বিবাহিত জাতকদের জীবনে কিছু ছোটখাটো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু আগস্টের পরের সময়টি আপনার বিবাহিত জীবনের জন্য সবথেকে উত্তম থাকার দিকে ইশারা করছে। এই সময় আপনি আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে কোন সুন্দর জাগাতে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। বছরের শেষটি বিবাহিত জাতকদের জন্যও অনুকূল প্রমাণিত হবে।
কর্মক্ষেত্রে এই বছরটি খুব শুভ হতে চলেছে। চাকুরিজীবীদের উন্নতির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা লাভ করার অনেক সুযোগ পেতে পারেন। এই সময়টি বিবাহিত জীবনের জন্য খুবই অনুকূল হতে চলেছে। অবিবাহিতদের বিয়ের যোগ আছে। মে মাস পর্যন্ত আপনাকে আপনার স্বাস্থ্যের বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সময়ে আপনার স্বাস্থ্য দুর্বল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাস্থ্যের দিক থেকে ভাল ফল পেতে পারেন। ধন সঞ্চয় করতে সক্ষম হবেন।
কুম্ভ রাশির জাতকদের জন্য এই বছরটি অধিক অনুকূল থাকবে। আর্থিক দিক থেকে, এই বছর আপনি প্রচুর সাফল্য পাবেন। কেননা জানুয়ারী মাসে মঙ্গল গ্রহের গোচর আপনাকে সর্বাধিক আর্থিক সুবিধা সাহায্য করবে। তারপরে, মার্চের শুরুতে, চারটি প্রধান গ্রহ যেমন শনি, মঙ্গল, বুধ এবং শুক্রের সংমিশ্রণ আপনাকে প্রচেষ্টা এবং ভাল সম্পদের লাভে সাফল্য দেবে।
যাইহোক, ১১ এপ্রিল মেষ রাশিতে ছায়াগ্রহ রাহুর গোচর এবং আপনার তৃতীয় ভাবে এটির দৃষ্টি আপনাকে তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিতে প্রেরিত করবে। এইরকম পরিস্থিতিতে, আপনি সবকিছুতে ভাল করে ধ্যান দিবেন এবং কোন কিছুকে আপনার উপর আধিপত্য বিস্তার করতে দেবেন না। এই বছর জুড়ে আপনার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকবে। লক্ষণীয়, জানুয়ারী মাসে, আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন এবং ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত অনেক গ্রহের প্রতিকূল চলাফেরা এবং তাদের স্থান পরিবর্তনের কারণে আপনাকে কিছু শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন করতে হতে পারে। এপ্রিল মাসে মেষ রাশিতে হতে চলা রাহুর গোচর এবং আপনার তৃতীয় ভাবে এটির দৃষ্টি আপনার ভাইবোনদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক সমস্যা করতে সাহায্য করবে।
যদি আমরা আপনার কর্মজীবন এবং পেশাগত জীবন সম্পর্কে কথা বলি, তাহলে জানুয়ারী মাসে ধনুতে মঙ্গল গ্রহের উপস্থিতি আপনাকে চাকরি এবং ব্যবসা উভয় ক্ষেত্রেই দুর্দান্ত সাফল্য দেবে। যদিও, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত আপনাকে কর্মস্থলে আপনার বরিষ্ঠ অধিকারী এবং বসের সাথে ছোটখাটো বিরোধের সম্মুখীন করতে হতে পারে। এছাড়া কুম্ভ রাশির শিক্ষার্থীদের জন্য এই বছরটি অত্যন্ত ফলদায়ী প্রমাণিত হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও, অনুকূল ফল ভোগ করার জন্য আপনাকে প্রাথমিক দিনগুলিতে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। অন্যদিকে, বিবাহিতদের জাতকদের দিকে তাকালে, সাল ২০২২ আপনার জন্য মিশ্র হবে। এই বছরের প্রথমের দিকে, আপনার জীবনসঙ্গী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সাথে তর্ক বা বিবাদের সম্ভাবনা রয়েছে এবং এপ্রিল পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। এছাড়াও, এপ্রিল মাসে মীন রাশিতে বৃহস্পতি গোচর এবং আপনার দ্বিতীয় ভাবকে সক্রিয় করা, অবিবাহিতদের বিবাহে আবদ্ধ করতে কাজ করবে।
অর্থের দিক থেকে এই বছরটি মোটামুটি কাটবে। বছরের শুরুতে আপনি কোনও পুরানো ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন, তবে আপনার ব্যয় বৃদ্ধির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আপনাকে আপনার ব্যয় এবং আয়ের মধ্যে ভারসাম্যতা বজায় রাখতে হবে, যাতে আপনি আর্থিক সংকট থেকে দূরে থাকতে পারেন। এবছর বিদেশ সফরে যাওয়ার সুযোগও পেতে পারেন। চাকুরিজীবীরা ইতিবাচক ফল পেতে পারেন। ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় ভাল পরিবর্তন আসতে পারে। যদিও আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হতে পারে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ছোটোখাটো সমস্যা দেখা দেবে।
মীন রাশির জাতকদের জন্য সাল ২০২২ মুখ্যরূপে অনুকূল হবে। এই বছর আপনি বেশিরভাগ আর্থিক দিক থেকে সম্পন্ন হবেন। এপ্রিল মাসে শনি দেবের একাদশ থেকে দ্বাদশ ভাবে উপস্থিতি আপনার আয়ের নতুন উৎস তৈরি করতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া, আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে গ্রহের ক্রমাগত পরিবর্তন আপনার জীবনে অনেক অর্থনৈতিক উত্থান -পতন নিয়ে আসবে। অন্যদিকে ক্যারিয়ারের দিক থেকে মীন রাশির জাতকেরা অনুসার পরিনাম পাবেন। এছাড়াও, এপ্রিল মাসে মীন রাশিতে বৃহস্পতির গোচর আপনার কর্মস্থলে আপনাকে আপনার সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনে সহায়তা করবে। যে কারণে আপনি পদোন্নতি পাবেন এবং আপনি বেতন বৃদ্ধি পেতেও সক্ষম হবেন।
শিক্ষার্থীদের কথা বলতে গেলে, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বৃশ্চিক রাশিতে মঙ্গলের গোচর শিক্ষায় ইতিবাচক ফলাফল দিতে পারে। ফলস্বরূপ, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষায় ভালো প্রদর্শন করে ভালো নম্বর পেতে পারবে। যদিও, পারিবারিক জীবনের দৃষ্টিকোণ থেকে, এপ্রিলের শেষ দিনগুলিতে, আপনার রাশি থেকে দ্বাদশ ভাবে কর্মফল দানকারী শনির গোচরের ফলে, আপনাকে আপনার পরিবার থেকে দূরে সরে যেতে হতে পারে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্যের দিক থেকে, মে থেকে আগস্টের মধ্যে আপনার মায়ের খারাপ স্বাস্থ্য উন্নতির দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এছাড়া, মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত, আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। কারণ এই সময়শনি গ্রহ আপনার রোগ ভাবের দিকে পুরোপুরি দৃষ্টি করে থাকবেন।
এই বছর মে মাসে তিনটি গ্রহ যেমন মঙ্গল, শুক্র এবং গুরু বৃহস্পতির সংমিশ্রণ এবং বৃহস্পতি গ্রহের গোচর আপনার পরিবার এবং গুরুজনদের আশীর্বাদ দিতে চলেছে। বিবাহিত জীবনের দৃষ্টিকোণ থেকেও, এই বছরটি বিবাহিতদের জন্য কোন বরদান থেকে কম নয়। কারণ বছরের শুরু থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বিবাহিতদের একটি ভালো বিবাহিত জীবন উপভোগ করতে দেখা যাবে। ২১ এপ্রিলের পরে, আপনার বিবাহিত জীবনেও নতুনত্ব আসবে। যদিও, এই রাশির প্রেমময় জাতকদের জন্য, এই বছরটি স্বাভাবিক হতে চলেছে। কিন্তু আপনার পঞ্চম এবং সপ্তম ভাবের অধিপতি বুধের আপনার ভালোবাসার ভাবে উপস্থিতি, এবং আপনার প্রেম এবং সম্পর্ককে সম্পূর্ণরূপে দৃষ্টি করা, হঠাৎ করে কোন তৃতীয় ব্যক্তি আপনাদের সম্পর্কের মাঝে হস্তক্ষেপ করার কারণ হবে। এমন পরিস্থিতিতে, বিশেষ করে এই বছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত, আপনার সঙ্গীর সাথে ছোট-ছোট বিষয়ে কোন প্রকার তর্ক করা থেকে এড়িয়ে চলুন।